প্রত্যন্ত অঞ্চলের অসহায় দরিদ্র মানুষের মুখে খাবার তুলে দিতে ছুটে বেড়াচ্ছেন ছুটে বেড়াচ্ছেন বরগুনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ নূর হোসেন সজল বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের কাছে গিয়ে সচেতনতার বার্তা পৌঁছে দিলেন তিনি।
এছাড়া সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাফেরা করা, নিজেকে নিরাপদ রাখতে বারবার হাত ধোয়া অযথা ঘোরাঘুরি না করা এসব বিষয় ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের সাধারণ মানুষকে সচেতন করেছেন।
করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে সরকারি নির্দেশনা মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পাথরঘাটা উপজেলায় ৭টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ৪শ হতদরিদ্রর মাঝে চাল, আলু ও ডাল বিতরণ করা হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. হুমায়ুন কবির
স্বপ্ন ইনফো কে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ নূর হোসেন (সজল) জানানঃ বর্তমান সময়ে করোনাভাইরাস একটি আতঙ্কের নাম। আর সেই আতঙ্ক থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষকে নিরাপদ রাখতে, সচেতনতা বার্তা নিয়ে কাজ করছে বরগুনার প্রশাসন তারই ধারাবাহিকতায় আমি ও আমার টিমসহ সারাদিন মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে সেই বার্তা পৌঁছে দিয়েছে।
বরগুনা জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, জেলার ছয়টি উপজেলার তালিকাভুক্ত মোট ৮শ ৯৯ জনের মাঝে প্রায় ১০ মেট্রিক টন খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। পাশাপাশি নগদ অর্থ প্রদান করা হয়েছে তিন লাখ টাকা। এছাড়াও খাদ্য সহায়তা ও অর্থ সহায়তার জন্য পর্যাপ্ত মজুদ আছে বলে জানা গেছে। করোনার প্রভাবে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষতে সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। পাশাপাশি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত মটিটরিং করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ বলেন, ‘করোনাভাইরাসের প্রভাবে উপার্জন বন্ধ হয়ে যাওয়া হতদরিদ্রদের মাঝে আমরা সহায়তা প্রদান অব্যাহত রেখেছি। প্রতিটি ইউনিয়নে গিয়ে আমরা অসহায়দের হাতে সহায়তা তুলে দিচ্ছি। আমাদের এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। করোনাভাইরাসের প্রভাবে হত দরিদ্রদের চিন্তিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। খাদ্যদ্রব্যসহ নগদ অর্থের আমাদের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে।
সরকারি নিষেধাজ্ঞা আর প্রশাসনের কড়াকড়িতে একপ্রকার অঘোষিত লকডাউনে বরগুনা। আর এতে সব থেকে অসহায় হতদরিদ্ররা। তাই জেলার সব হতদরিদ্রদের তালিকা তৈরি করেছে বরগুনা জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন। এরপর তালিকা অনুযায়ী দেয়া হচ্ছে সহায়তা। এই তালিকার বাইরে থাকা অসহায় বেঁদে জনগোষ্ঠীকেও দেয়া হচ্ছে এই সরকারি সহায়তা। এ ছাড়াও জেলার ৪০ হাজার জেলেকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে করোনার এই দুর্যোগকালীন সরকারি সহায়তায়।