মধ্যরাতে বস্তা ভর্তি খাদ্য হাতে স্ত্রীকে নিয়ে খেটে-খাওয়া মানুষদের বাড়ি ডিসি মোস্তফা কামাল

দ্বারা zime
০ মন্তব্য 933 দর্শন

 

সাধারণত আমরা আমাদের পরিবার নিয়ে চিন্তা করি। মনে করি আমি ও আমার পরিবার সুস্থ থাকলেই হলো। দেশের লোকের কি হলো বা কি হবে তা নিয়ে আমার মাথা ব্যাথা নেই।কিন্তু জেলার ডিসি-এসপি ও সিভিল সার্জন কে শুধু তার পরিবার নিয়ে ভাবলে চলেনা। তাদের ঐ পদের দায়িত্ববোধ ও অনেক বেশি।তাদের পরিবারের বাহিরেও জেলার সকল মানুষকে নিয়ে ভাবতে হয়।ধরা যাক সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল এঁর কথা।তিনি বাহিরের জেলার মানুষ সাতক্ষীরাতে চাকুরীর স্বার্থে হয়তো ২-৩ বৎসর থাকবেন তারপর নিয়ম অনুযায়ী বদলী হয়ে যাবেন তিনি। কিন্তু সাতক্ষীরা জেলা কে ক্লিন সাতক্ষীরা, গ্রিণ সাতক্ষীরা বিণির্মানে তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছিলেন। প্রাণ সাহের খাল খনন থেকে শুরু করে তিনি সাতক্ষীরার সৌন্দর্য বৃদ্ধির লক্ষে নিরালস ভাবে কাজ করে যাচ্ছিলেন।বিশেষ করে প্রতি বুধবার জেলা প্রশাসকের গণশুনানি সাতক্ষীরা জেলাব্যাপি মার্কেট পেয়েছে।

কিন্তু হঠাৎ করে দেশে করোনা ভাইরাস ঢোকাতে জেলা প্রশাসকের উন্নয়ন মুলক কাজের গতি একটু হ্রাস পেয়েছে কিন্তু করোনা ঠেকাতে জেলা প্রশাসকের কাজ দ্বিগুন বেড়ে গেছে।করোনা আতংকে আতংকিত হয়ে বাজারে এক শ্রেনীর অসাধু ব্যবসায়ীরা মাস্ক – হ্যান্ডওয়াস ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার সহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিষের দাম বৃদ্ধি করে যাচ্ছিলো কিন্তু জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল এঁর নেতৃত্বাধীন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গণ নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিষের দাম নিয়ন্ত্রণ করে ফেলেছে। জেলা প্রশাসক জেলা বাসিকে করোনা পরিস্থিতির আপডেট জানাতে প্রতিনিয়ত ফেইজবুক লাইভে আসছেন ও সাতক্ষীরা ভিশন ক্যাবল অপারেটরের মাধ্যমে জেলা বাসীকে করোনা প্রতিরোধে বিভিন্ন সচেতনতা মুলক বার্তা প্রদান করা হচ্ছে।  

এদিকে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক গত ২৬ মার্চ থেকে আগামী ৪ এপ্রিল ২০২০ পর্যন্ত দেশের সকল সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, পরিবহন এমন কি দেশের সকল চায়ের দোকান ও বন্ধ রাখার ঘোষনা দিয়েছেন সরকার। সরকারী নির্দেশনায় বলা আছে সবাই ঘরে থাকবেন দশ দিন। খুব প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাহিরে যাবেন না। অযথা বাহিরে গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া নেওযা হবে।

সরকারের এমন ঘোষনা দেওযার পর ও দেশের খেটে খাওযা মানুষ গুলো পেটের দায়ে ঘরে বসে থাকতে পারছেন না। কারন তারা দিন আনে দিন খায়। একদিন ভ্যান না চালালে তাদের পরিবার না খেয়ে থাকবে। এমন পরিস্থিতিতে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনা খেটে খাওয়া মানুষদের খাদ্য সামগ্রী পাঠিয়েছেন দেশের প্রত্যেকটি জেলা প্রশাসকের ত্রাণ শাখায়।আর জেলা প্রশাসক গণ প্রধান মন্ত্রীর দেওয়া উপহার নিয়ে পৌছে দিতে যাচ্ছেন খেটে খাওয়া মানুষদের বাড়ি বাড়ি। ঠিক তেমনি সাতক্ষীরা জেলার বিঞ্জ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক গতকাল শহরের পোষ্ট অফিস মোড়ে প্রকৃত অভাবি ব্যক্তিদের তালিকা করে তাদের মাঝে ১০ কেজি চাল, ৫ কেজি ডাল, ৫ কেজি পিয়াজ ও ১ লিটার পরিমান সয়াবিন তেল প্রদান করেন।আবার সোমবার  সন্ধা  থেকে জেলা প্রশাসক মোস্তফা কামাল তাঁর পত্নী মিসেস লাভলী কামাল কে নিয়ে শহরের সুলতানপুর, কাটিয়া, মুন্সিপাড়া, পলাশপোল, মুনজিতপুর সহ তার আসেপাসের এলাকার ৫০ জন খেটে খাওয়া দিন মজুর দের মাঝে চাউল-ডাউল, পিয়াজ ও তেল বিতরণ করেন। জেলা প্রশাসক ও তাঁর স্ত্রীর নিকট থেকে প্রধান মন্ত্রীর ত্রাণ উপহার পেয়ে আনন্দে আবেগাপ্লুত হন।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন