মাদক ব্যবসায়ীদের জায়গা হবে জেলখানায় : বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি শফিকুল ইসলাম

দ্বারা zime
০ মন্তব্য 261 দর্শন

 

 

বরিশাল রেঞ্জের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল ডিআইজি কর্তৃক প্রধান অতিথি হিসেবে বরগুনা জেলায় আত্মসমর্পণকৃত মাদকসেবী/ব্যবসায়ীদের নিয়ে মতবিনিময় সভা এবং বরগুনা জেলা পুলিশের অফিসার/ফোর্সদের নিয়ে বিট পুলিশিং ও আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ ১৯/০১/২০২১ খ্রিঃ তারিখ রেঞ্জ ডিআইজি, বাংলাদেশ পুলিশ, বরিশাল রেঞ্জ মোঃ শফিকুল ইসলাম বিপিএম (বার), পিপিএম বরগুনা জেলা পুলিশের অফিসার/ফোর্সের সাথে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং বিট পুলিশিং সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করেন। এছাড়াও তিনি মাদকসেবী/ব্যবসায়ীদের আত্মসমর্পণ ও পূর্বে আত্মসমর্পণকৃত মাদকসেবী/ব্যবসায়ী সহ বিকল্প পন্থায় (ADR- Alternative Dispute Resolution) পারিবারিক বিরোধ নিষ্পত্তিকৃত দম্পতিদের সাথে মতবিনিময় করেন।

উক্ত অনুষ্ঠানে নতুন করে ৪০ জন মাদক ব্যবসায়ী/ সেবী আত্মসমর্পণ করেন। ডিআইজি তাদের ফুল ও উপহার সামগ্রী প্রদান করে আলোর পথে বরণ করে নেন। এসময় তিনি বলেন, আত্মসমর্পণের কারণে সমাজে মাদকের বিস্তার রোধ হচ্ছে। বরিশাল বিভাগেই পর্যন্ত ৪৪৬ জন মাদকসেবী নিরাময় কেন্দ্রের মাধ্যমে সুস্থ হয়ে সমাজের সুস্থ স্রোতধারায় মিশেছে।

মাদক ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে দিয়ে ডিআইজি বলেন, ‘মাদক ব্যবসায়ীদের জায়গা হবে জেলখানা।’ আত্মসম্পর্নকৃত মাদকসেবীদের সমাজে পুনর্বাসনের জন্য বরগুনায় তাদের নিয়ে গঠিত সমিতি “নব দিগন্ত” এর মাধ্যমে আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থার করা হবে । উক্ত সমিতির মাধ্যমে তাদেরকে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের কাজ, সেলাইয়ের কাজ, বিদ্যুতের কাজ, মোবাইল সার্ভিসিং, ফ্রিজ ও এসি মেরামত, মৎস্য চাষ, কৃষি উৎপাদন , গবাদি পশু ও হাঁঁস-মুরগী পালন ইত্যাদি বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও ঋণ গ্রহণের ব্যবস্থা করা হয়।

রেজ্ঞ ডিআইজি Victim Support Centre- বরগুনার মাধ্যমে বিকল্প পন্থায় পারিবারিক বিরোধ নিষ্পত্তিকৃত ২০ জন দম্পতিকে ফুলেল শুভেচ্ছা প্রদান করেন।

পুলিশ সুপার, বরগুনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বরগুনা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্য সাংবাদিকবৃন্দ, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

এর পূর্বে ডিআইজি বরগুনা জেলা পুলিশ লাইনসে অনুষ্ঠিত প্যারেডে অভিবাদন গ্রহণ শেষে বরগুনা রিজার্ভ অফিস সহ পর্যায়ক্রমে পুলিশ অফিস ও জেলা বিশেষ শাখা বার্ষিক পরিদর্শন করেন।

প্যারেড পরিদর্শনকালে ডিআইজি করোনাকালীন পুলিশের সাহসী ভূমিকার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে পুলিশ যে গণমানুষের বন্ধু হয়ে কাজ করতে পারে সে কথা ব্যক্ত করেন। তিনি রেঞ্জের প্রতিটা থানাকে নাগরিকসেবা বাস্তবায়নের রোলমডেল হিসেবে দেখতে চান। থানায় আগত সেবাপ্রার্থীদের সাথে পুলিশের আচরণ কেমন হবে, কিভাবে তা আরো আধুনিক ও মার্জিত করা যায় সেসব কথা তুলে ধরেন। পাশাপাশি মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশকে অপ্রতিরোধ্য হবার নির্দেশনা প্রদান করেন।

এছাড়া সততা (integrity), স্বচ্ছতা (transparency), ন্যায়নিষ্ঠা ও কর্তব্যপরায়নতার (responsibility & dutifulness) সাথে প্রতিটি পুলিশ সদস্যকে কাজ করে যাওয়ার জন্য প্রধান অতিথি মহোদয় তাদেরকে নির্দেশ প্রদান করেন।

প্রধান অতিথি বিশেষ কল্যাণসভায় থানার ওসিদের অধীনস্ত পুলিশ সদস্যদের সার্বিক কল্যাণের বিষয়ে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেন; ব্যারাকের পরিচ্ছন্নতা, ফোর্সের খাবার ও রেশনের মান ইত্যাদি বিষয়ে তিনি অভিভাবকসুলভ নির্দেশনা প্রদান করেন।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন