বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উদযাপনে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে মুজিব বর্ষের ক্ষণগণনা শুরু হয়েছে।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) বিকেলে ঢাকায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুজিব বর্ষের ক্ষণগণনা শুরু করতে ‘কাউন্ট ডাউন ক্লক’ উদ্বোধনের পর সারাদেশের সঙ্গে চট্টগ্রামেও মুজিব বর্ষের ক্ষণগণনা শুরু হয়।
পুরাতন নগর ভবনের সামনে ‘এ’ ক্যাটাগরির একটি, সার্কিট হাউজ, আদালত ভবনের সামনে এবং শাহ আমানত সেতু এলাকায় ‘বি’ ক্যাটাগরির তিনটি ‘কাউন্ট ডাউন ক্লক’ একসঙ্গে চালু করে চট্টগ্রামে মুজিব বর্ষের ক্ষণগণনা শুরু হয়।
এ উপলক্ষে নগরের এম এ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেশিয়াম মাঠে বর্ণিল অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ও জেলা প্রশাসন। অনুষ্ঠানে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের ঢল নামে।
বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ঢাকার প্যারেড গ্রাউন্ডে ‘কাউন্ট ডাউন ক্লক’ উদ্বোধন অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার জায়ান্ট স্ক্রিনে দেখানোর কথা থাকলেও দুপুর ২টা থেকে জিমনেশিয়াম মাঠে আসতে শুরু করেন নগরবাসী।
বিকেল ৩টার আগেই জিমনেশিয়াম মাঠ মুক্তিযোদ্ধা, রাজনীতিক, সরকারি কর্মকর্তা, স্কুল-কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠে। মাঠে জায়গা না পেয়ে সড়কে অবস্থান নেন অনেকে।
ক্ষণগণনা অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে জিমনেশিয়াম মাঠ ও আশেপাশের এলাকা সাজানো হয় বর্ণিলভাবে। নেওয়া হয় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা। টাইগারপাস মোড় থেকে কাজীর দেউড়ি ও লাভলেন মোড় পর্যন্ত পুরো এলাকাকে বঙ্গবন্ধুর আন্দোলন-সংগ্রামের ঐতিহাসিক ছবি, রঙিন ব্যানার ও ফেস্টুন দিয়ে সাজানো হয়।
মুজিব বর্ষের ক্ষণগণনা অনুষ্ঠানে মানুষের ঢল। ছবি: বাংলানিউজ
ক্ষণগণনা অনুষ্ঠানে আসা লোকজন যাতে সড়কে দাঁড়িয়েও সরাসরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণ শোনতে পান, সেজন্য স্থাপন করা হয় একাধিক জায়ান্ট স্ক্রিন। বন্ধ করে দেওয়া হয় কাজীর দেউড়ি মোড় থেকে লালখান বাজার মোড় সড়ক।
জিমনেশিয়াম মাঠে এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য ডা. আফছারুল আমিন, সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, সিডিএ চেয়ারম্যান এম জহিরুল আলম দোভাষ, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এমএ সালাম, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি আলী আব্বাস।
উপস্থিত ছিলেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক, সিএমপি কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) শংকর রঞ্জন সাহাসহ সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তারা।