জঙ্গি দমন – বন দস্যু -দমন, সন্ত্রাস- দমন সব জায়গায়ই পুলিশ তাদের সক্ষমতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছে – স্বরাষ্ট মন্ত্রী

দ্বারা zime
০ মন্তব্য 293 দর্শন

 

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, আজ থেকে বারো বছর আগের যে পুলিশ আর শেখ হাসিনার পুলিশ এক নয়। কারণ বঙ্গবন্ধুর কন্যা এখন নেতৃত্বে। তিনি জনগনের পুলিশ হওয়ার জন্যই এই পুলিশকে তৈরি করেছেন।

তিনি বলেন, আজকে জনগণের যা প্রয়োজন পুলিশ তাই করছে। জঙ্গি দমন বলেন, বন দস্যু বলেন, সন্ত্রাস দমন বলেন, সব জায়গায়ই পুলিশ তাদের সক্ষমতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছে।

শনিবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ আয়োজিত জুড়ী থানার নবনির্মিত ভবনের ফলক উম্মোচন শেষে এক সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের পরবর্তী জেনারেশন যাদেরকে নিয়ে আমরা গর্ববোধ করি, যাদেরকে নিয়ে আপনারা স্বপ্ন দেখেন, তাদেরকে রক্ষা করার জন্য মাদক থেকে দূরে রাখতে হবে। আপনারা যে যেখানে থাকেন মাদক যে একটা ভয়ঙ্কর নেশা, এটা যে মানুষকে, পরিবারকে, সমাজকে শেষ করে দেয় সেই বিষয়টা তাদের বুঝাবেন।

তিনি বলেন, আমরা শুধু তাদের ওপর কঠোর হলে, স্টিমরোলার চালালে হবে না। তরুণ প্রজন্মকে রক্ষা করতে হলে তাদেরকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে তারাসহ আমরা সবাই যাতে মাদকের বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়াই। মাদকের এই ভয়ঙ্কর নেশা থেকে আমাদের নতুন প্রজন্মকে যদি রক্ষা করতে না পারি তাহলে আমরা পথ হারিয়ে ফেলবো।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, আমি শাহাব উদ্দিন ভাইয়ের (পরিবেশ মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন) এলাকায় যতবার এসেছি ততবারই মনে হয়েছে আমি আরও কিছুক্ষণ থেকে যাই। তিনি যেমন ভালো মানুষ, এখানকার প্রকৃতি ঠিক সেই রকম। সম্ভাবনাময় জেলা এই মৌলভীবাজার।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, মৌলভীবাজার-৩ (রাজনগর) আসনের সংসদ সদস্য নেছার আহমদ, সংরক্ষিত মহিলা আসসের সংসদ সদস্য সৈয়দা জোহরা আলাউদ্দিন, পুলিশের সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহম্মেদ, সিলেট মহানগর পুলিশের কমিশনার মো. নিশারুল আরিফ, মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান, জুড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ মোঈদ ফারুক প্রমুখ।

গণপূর্ত অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, ৭ কোটি ৩১ লাখ ৪৪ হাজার ৩৫০ টাকা ব্যয়ে থানা ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছে। ৪ তলা ভবনটিতে রয়েছে অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা। ভবনের সামনে রয়েছে সবুজ মাঠ ও সুদৃশ্য ফুলের বাগান। থানা আঙিনায় প্রবেশের মুখেই বাম পাশে রয়েছে একটি নয়নাভিরাম ছোট পুকুর। থানার সেবা প্রত্যাশীরা থানা আঙিনা ও ভবনে প্রবেশের পর এর আয়োজন দেখে মুগ্ধ হবেন। আধুনিক এ ভবন নির্মাণের ফলে উন্নত ও কাঙিক্ষত পুলিশি সেবা প্রদান সহজ হবে। ‘পুলিশ বিভাগের ১০১টি থানা ভবন টাইপ প্ল্যানে নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ২০১৬ সালের ২৯ নভেম্বর জুড়ী থানা ভবনের নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন