টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে অপপ্রচার অবৈজ্ঞানিক : ডা. সুব্রত ঘোষ

দ্বারা zime
০ মন্তব্য 198 দর্শন

 

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা ধরনের প্রচার দেখা যাচ্ছে। যা পুরোপুরি অবৈজ্ঞানিক। তাই জনগণকে নিঃদ্বিধায় টিকা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. সুব্রত ঘোষ। তবে কেমোথেরাপী-রেডিওথেরাপী দেয়া রোগী কিংবা মারাত্মক অ্যালার্জি যাদের আছে তাদেরকে টিকা না নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। টিকা নেয়া এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার মাধ্যমেই করোনা প্রতিরোধ সম্ভব বলে জানান এই জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ।

২৭ জানুয়ারি ঐতিহাসিক একটি দিন। কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনু ভেরোনিকা কস্তা টিকা নেয়ার জন্য প্রস্তুত। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সাহস যোগালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। “জয় বাংলা” ধ্বনিতে শুরু হলো টিকাদান কার্যক্রম। দ্বিতীয় দিনে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য হিসেবে টিকা নেন আইসিটি ও সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী।

৭ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে শুরু হলো ভ্যাক্সিনেশন। বেলা সাড়ে ১১টায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল প্রথমেই করোনা টিকা গ্রহণ করে টিকাদান কর্মসূচি উদ্বোধন করেন। এরপর সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন শাফায়েতসহ প্রশাসনের কর্মকর্তা একে একে টিকা গ্রহণ করেন।

প্রথম ধাপের এই টিকা পাবেন সম্মুখসারীর করোনা যোদ্ধারা। এরমধ্যে রয়েছেন স্বাস্থ্যকর্মী, প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, গণমাধ্যমকর্মী ও মুক্তিযোদ্ধারা।

সাতক্ষীরা জেলার ৮টি কেন্দ্রে প্রথম দফায় আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৩০ হাজার মানুষকে করোনা ভাইরাসের টিকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন শাফায়েত। তিনি টিকা গ্রহণের জন্য সুরক্ষা ওয়েব সাইটে গিয়ে নিবন্ধন করতে সকলের প্রতি আহবান জানান।

গত বছরের ৮ মার্চ সংক্রমণের শুরু থেকে প্রথম টিকা প্রয়োগ- দৃঢ়তার সাথে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিভিন্ন সময়ে নানা গুজবের ধারাবাহিকতায় টিকা নিয়েও আছে নানা অপপ্রচার। ডা. সুব্রত ঘোষ জানালেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যা চলছে তার বৈজ্ঞানিক কোনো ভিত্তি নেই।

ডা. সুব্রত ঘোষ বলেন, প্রথম বলছে পাবো কিনা, এখন বলছে নিবো কিনা- এরকম কথা কিন্তু এখন চলছে। এসব অপপ্রচার দূর করে জনগণ নিঃসঙ্কচে, নির্ভয়ে টিকা নিতে পারবেন। এখানে গোপনের কিছু নেই। যারা অথেন্টিক, তারা যেটি বলবে আপনি সেটি গ্রহণ করবেন।

তিনি বলেন, ১৮ বছরের নিচে কাউকেই কিন্তু দেয়া হচ্ছে না। গর্ভবতী মহিলা এবং যারা শিশুকে দুগ্ধ পান করান তাদেরও। তৃতীয় হলো যারা মুমূর্ষু রোগী, বিছানায় শুয়ে আছে, হাসপাতালে ভর্তি, জটিল রোগ তাদেরকে টিকা না দেওয়াই ভালো। আরেকটি হলো যাদের অ্যালার্জিক রিঅ্যাকশন আছে।

তিনি বলেন, দুটি ডোজ লাগবে। প্রথম একটি নেবো, এর ৮ সপ্তাহ পর আরেকটি নিবো। প্রথম ডোজ দেওয়ার মাধ্যমে অ্যান্টিবডি তৈরিতে এক থেকে দেড় মাস লেগে যায়। যখন আরেকটি ডোজ দেওয়া হয় তখন পূর্ণতা পায়। ডোজের নিয়মটাই এরকম।

জানাগেছে কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কেন্দ্রে টিকা নেওয়া সাতক্ষীরা-১ আসনের সাংসদ এ্যাডভোকেট মোস্তফা লুৎফুল্লাহ, কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কেন্দ্রে টিকা নেওয়া সাতক্ষীরা-৩ আসনের সাংসদ অধ্যাপক ডা. আফম রুহুল হক এবং সাতক্ষীরা সদর কেন্দ্রে টিকা নেওয়া সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল আজ টিকা নেবার পর সুস্থ আছেন এবং স্বাভাবিক কর্মকান্ড করছেন।

সবাইকে সুরক্ষিত রাখতে টিকা নেয়ার পরও মেনে চলতে হবে স্বাস্থ্যবিধি।

ডা. সুব্রত ঘোষ বলেন, ভ্যাকসিনও নিবো আমরা, স্বাস্থ্যবিধিও পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে মেনে চলবো আমরা আর কোন প্রকার গুজবেই কান দিবো না।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন