কে এম রেজাউল করিম দেবহাটা: দেবহাটায় এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। নিহত ব্যবসায়ীর নাম আশিক হাসান জুয়েল (৩৩)। জুয়েল দেবহাটা উপজেলা সদরের মৃত আনিসুর রহমানের ছোট ছেলে। জুয়েল নিহতের ঘটনায় সাতক্ষীরার এডিশনাল এসপি সজিব আহম্মেদ নিহতের ঘটনাস্থল বৃহষ্পতিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় পরিদর্শন করেছেন। এরআগে বুধবার রাত ১০ টার দিকে ব্যবসায়ী জুয়েলের লাশ তার বাড়ির একটি পুকুর থেকে দেবহাটা থানা পুলিশ উদ্ধার করে। জুয়েলকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহতের স্বজনরা জানায়, আশিক হাসান জুয়েল তার বাড়ির সামনে একটি পুকুরে সন্ধ্যার পরে বসে ছিল। কিছু সময় পরে তার কোন খোজ না পেয়ে এবং তার মোবাইল ফোন বন্ধ পেয়ে তাকে তার পরিবারের লোকজন খুজতে থাকে। একপর্যায়ে তার বাড়ির সামনে পুকুরের সিড়িতে রক্ত দেখতে পাওয়া যায় এবং রক্তের দাগ লক্ষ্য করে পাশর্^বর্তী আরেকটি পুকুরে জুয়েলের লাশ ভাসতে দেখতে পাওয়া যায়। পুলিশ ও স্থানীয়দের ধারনা জুয়েলকে তার বাড়ির সামনে পুকুরে হত্যা করে লাশটি গুম করা বা হত্যা নিশ্চিত করার জন্য দৃষ্কৃতকারীরা পাশর্^বর্তী ঐ পুকুরে ফেলে রেখে যায়। পরে থানা পুলিশকে খবর দিলে ওসি বিপ্লব কুমার সাহা, ওসি (তদন্ত) ফরিদ আহম্মেদ ঘটনাস্থলে পৌছে লাশটি উদ্ধার করেন।

বৃহষ্পতিবার সকালে সাতক্ষীরার এডিশনাল এসপি সজিব আহম্মেদ ঘটনাস্থলে আসলে এসময় তার সাথে এডিশনাল এসপি হেড কোয়ার্টার ইকবাল হোসেন, দেবহাটা সার্কেলের সিনিয়র এএসপি এসএম জামিল আহম্মেদ, দেবহাটা থানার ওসি বিপ্লব কুমার সাহা, সাতক্ষীরার ওসি (ডিবি) ইয়াছিন আলী, দেবহাটা থানার ওসি (তদন্ত) ফরিদ আহম্মেদসহ পুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৃহষ্পতিবার সকালে নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা মর্গে প্রেরন করা হয়েছে।

দেবহাটা থানার ওসি বিপ্লব কুমার সাহা জুয়েল নিহতের ঘটনায় প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাড়ির কেয়ারটেকারসহ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে উল্লেখ করে জানান, নিহতের ক্লু উদঘাটনে পুলিশ কাজ করছে। ইতিমধ্যে কয়েকটি বিষয়কে সামনে রেখে পুলিশী তদন্ত চলছে বলে ওসি জানান। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আটককৃতদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছিলো বলে জানা গেছে।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন