দৌলতদিয়া ঘাট এলাকার ভাঙ্গণরোধে শীঘ্রই কাজ শুরু হবে : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী।।

দ্বারা zime
০ মন্তব্য 530 দর্শন

 

দৌলতদিয়া ও পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় নদী ভাঙ্গনরোধ, নদী তীর রক্ষা ও যাত্রীসেবার মানোন্নয়নে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ১,১৩৭ কোটি টাকা ব্যয় সাপেক্ষে একটি ডিপিপি প্রণয়ন করেছে। প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে নতুনভাবে আটটি ফেরিঘাট, দৌলতদিয়ায় ছয় কিলেমিটার এবং পাটুরিয়ায় দু’ কিলেমিটার নদী তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ। ঘাটগুলো লো-ওয়াটার, মিড- ওয়াটার ও হাই-ওয়াটার লেভেলে স্থাপন করা হবে। আট কিলোমিটার নদী তীর রক্ষায় ৬৮০ কোটি টাকার প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে। নদী তীর রক্ষার কাজটি পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং ফেরিঘাট স্থাপনের কাজটি বিআইডব্লিউটিএ করবে প্রকল্পটির অনুমোদন পাওয়ার পর ফেরিঘাট স্থাপন ও নদী তীর রক্ষার কাজ দ্রুত শুরু হবে।
আজ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকার ভাঙ্গন কবলিত ঘাটসমূহ রক্ষার্থে অতিরিক্ত বরাদ্দ সংক্রান্ত বৈঠকে এসব তথ্য জানানো হয়। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ এমপি বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।

দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকার ভাঙ্গন কবলিত ঘাটসমূহের ভাঙ্গনরোধে স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সংস্থা) অনল চন্দ্র দাস কমিটির আহবায়ক, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো: মোতাহার হোসেন, আইডব্লিউএম, সিইজিআইএস এবং বিআইডব্লিউটিএ’র প্রতিনিধি কমিটির সদস্য।

সভায় জানানো হয় যে, বিআইডব্লিউটিএ দৌলতদিয়া ফেরিঘাট ও এর সংলগ্ন অংশের প্রতিরক্ষামূলক কাজ এবং ফেরিঘাটসমূহ পুনঃনির্মাণের লক্ষ্যে এ অর্থবছরে প্রায় ১১ কোটি টাকা অতিরিক্ত বরাদ্দ চেয়েছে।

উল্লেখ্য, বিআইডব্লিউটিএ এবছর দৌলতদিয়ায় ফেরিঘাট রক্ষায় ৫২ হাজার জিও ব্যাগ ডাম্পিং করেছে। এজন্য ব্যয় হয়েছে তিন কোটি টাকা। পানি উন্নয়ন বোর্ড এবছর জুনে ৪২ হাজার ও অক্টোবরে এক লাখ ১০ হাজার জিও ব্যাগ ডাম্পিং করেছে। এজন্য ব্যয় হয়েছে সাত কোটি টাকা। উক্ত এলাকায় নদী তীর রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ড ২০১৫-১৬ অর্থ বছর থেকে এপর্যন্ত ১৫ কোটি টাকা ব্যয় করেছে।

বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আবদুস সামাদ, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মোঃ মোতাহার হোসেন, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর এম মাহবুব উল ইসলাম, রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম, মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক এস এম ফেরদৌস, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও বিআইডব্লিউটিএর সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীগণ উপস্থিত ছিলেন।





০ মন্তব্য

মতামত দিন