“ধনতেরাসের হেম
সাবিনা ইয়াসমিন”
পাতা কুড়োনি মেয়ে
পাতা কুড়িয়েই গেলে
হেমন্তভোর
দেখেছো কি কখনো
পাতা ঝরার রূপ?
দেখিনি বলছ?
এক্কেবারে সোনার বরণ
মেরি গো রাউন্ড যেমতি
ঘুরতে ঘুরতে নামে
একবার বুক দেখায়
তো একবার পিঠ
খুব দেখেছি।
তখন তোমার কেমন লেগেছে?
রিক্ত?
নিঃস্ব লেগেছে মেয়ে?
নাহ্।
ঘুরে ঘুরে যেমন
বিবশা নর্তকী নাচে
পাতারাও ঠিক তেমনি
হ্লাদ করে
হাওয়ায় হাওয়ায় নাচে
সেই আনন্দ ছুঁয়ে যায়
আমাকেও।
উফ্! প্রতিদিন একই দৃশ্য
ভালো লাগে?
আমার তো একঘেয়েমিতে
বিবমিষা।
সত্যি বুঝি?
সেই তো একই
তুলসীতলা
সন্ধ্যাপ্রদীপ
একই আবেদন
নিবেদনের ডালি
সবেই তবে বিবমিষা?
একঘেয়েমি?
পাতা কুড়োনি মেয়ে
দীপাবলিতে যাবে?
আলোর উৎসবে?
না গো না
আমার মাথায় জড়োয়া গহনার মতো
ঝামুর ঝুমুর শুকনো পাতা
আমার মা ধ্বন্বেন্তরী- ত্রয়োদশীতে
উনুন জ্বালবে
আমরা সেই আগুনের আলোয় আলোয়
দেখে নেব মায়ের মুখ।
যে মুখ জুড়ে আছে
প্রগাঢ় স্তব্ধতা
যে মুখ ধরে আছে
ধনতেরাসের বাঞ্ছিত হেম
পৃথিবীর সকল প্রদীপের ঐশ্বর্য
ঝলমলে আলোর বিভা
অপরূপ
মাঙ্গলিক মূরতি।
লেখক কবি সাবিনা ইয়াসমিন
জেলা প্রশাসক,পঞ্চগড়।