নন্দিত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান খান’ গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত

দ্বারা zime
০ মন্তব্য 518 দর্শন

 

নন্দিত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান খান’ গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইন্সটিটিউট এর আ কা মু গিয়াসউদ্দীন মিলকী অডিটোরিয়াম প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রকাশনা উৎসবে সভাপতিত্ব করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম।

গ্রন্থে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাল্যকাল, পড়াশোনা, মুক্তিযুদ্ধ, রাজনীতি নিয়ে লেখা হয়েছে। পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লি. এর প্রকাশনায় ‘নন্দিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান খান’ গ্রন্থটি সম্পাদনা করেছেন ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি মোঃ হাবিবুর রহমান বিপিএম (বার), পিপিএম (বার)।

অনুষ্ঠানে মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান উপস্থিত ব্যাক্তিবর্গ ও গ্রন্থ প্রকাশের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন তারই সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা। তিনি দৃঢ় প্রত্যয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশকে সন্ত্রাসের জনপদ হিসেবে তৈরি করে ফেলা হয়েছিলো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে এদেশের মানুষ ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সন্ত্রাস ও জঙ্গী দমন করেছে।’

তিনি আরও বলেন ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যখন আমাকে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব দেন তখন তিনি (মাননীয় প্রধানমন্ত্রী) বলেছিলেন, “তুমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, সেজন্য তোমাকে এ দায়িত্ব দিলাম।”

তখন থেকে সুচারুভাবে দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করে যাচ্ছি।’

গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসবে একুশে পদকপ্রাপ্ত কথাশিল্পী ইমদাদুল হক মিলন বলেন, ‘আসাদুজ্জামান খান একজন সদালাপি ও প্রচার বিমুখ ব্যাক্তিত্ব। মুক্তিযুদ্ধের সময় ফার্মগেটের কঠিন ব্যারিকেডের নেতৃত্বে ছিলেন আসাদুজ্জামান খান। সোনার বাংলা সৃষ্টিতে বঙ্গবন্ধু কন্যার প্রয়াসের সঙ্গে কামাল ভাই হচ্ছেন একজন যোগ্য কর্মী।’

পুলিশের আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারি বিপিএম (বার) তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘মাদক, চরমপন্থি ও জঙ্গি দমনসহ দেশের প্রত্যেকটি ঘটনায় মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অত্যন্ত ধীর স্থিরভাবে আমাদের নির্দেশনা দিচ্ছেন। আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বৈঠকেও তিনি অত্যন্ত প্রজ্ঞার পরিচয় দিচ্ছেন। স্যারকে যতই দেখছি ততই মুগ্ধ হচ্ছি, যতই দেখছি ততই বিস্মৃত হচ্ছি। আমার সবচেয়ে অবাক লাগে তিনি একটা মানুষ যে সবার ফোন ধরেন। তাও আবার এক কলে।’

কথা সাহিত্যিক সেলিনা হোসেন বলেন, ‘আসাদুজ্জামান খান ইতিহাসের মানব সন্তান। তাঁর কর্মের কারণে ইতিহাসের মানুষ হয়ে বেঁচে থাকবেন বাঙালির মাঝে হাজার বছর ধরে।’

অনুষ্ঠানে মেজর জেনারেল ((অব) এ আর খান তার বক্তব্যে বলেন, ‘একজন সৎ ও সজ্জন ব্যক্তি হিসেবে তিনি পরিচিত। তাঁকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী হিসেবে মনোনয়ন দেয়া প্রধানমন্ত্রীর একটি সঠিক সিদ্ধান্ত।’

জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন বলেন,’তিনি একজন সফল মন্ত্রী। সকল ধর্মের মানুষের সঙ্গে সদ্ভাব রেখে তিনি সমস্যার সমাধান করেন। দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখতে তিনি সঠিক সময়ে সঠিক দিক নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন।’

দুদক কমিশনার ড. মোঃ মোজাম্মেল হক খান বলেন, ‘আসাদুজ্জামান খান একজন মুক্তিযোদ্ধা, পারিবারিক ও সংগ্রামী মানুষ ও রাজনীতিক। সব দিক দিয়ে তিনি সফল।’

সাবেক ডিএমপি কমিশনার মোঃ আছাদুজ্জামান মিয়া বিপিএম (বার), পিপিএম বলেন, আমি স্যারের সঙ্গে দীর্ঘদিন কাজ করেছি। উনার সঙ্গে অনেক স্মৃতি আছে আমার। তিনি শুধু রাজনীতিবিদ হিসেবে নন। প্রশাসক হিসেবেও ছিলেন অদ্বিতীয়। বাংলাদেশে ইতিহাসে স্বরাষ্টমন্ত্রী নেতিবাচক সমালোচনা হয়নি এমন নেই। তবে তিনি ব্যতিক্রম। তবে তার একটা দুর্বল জায়গা হল, তিনি প্রচার বিমুখ।

 

র‌্যাবের ডিজি ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার) বলেন, ৬৯ বয়সের এ মানুষ সর্ম্পকে আমি ৬৯ মিনিটেও বলে শেষ করতে পারবো না। তিনি এত বিনম্র মানুষ, অসীম ধৈয্যের অধিকারী, এটা অভূতপূর্ব। তার মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা আমাকে বেশি আকর্ষণ করে। বনদস্যুদের নিয়ে কাজ করতে ৩২ বার তাকে আমি সুন্দরবন নিয়ে গেছি। বাংলাদেশ একমাত্র দেশ যেখানে কোনো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে ৮ জন জঙ্গি আত্মসর্মপণ করেছেন।

অনুষ্ঠানে ডিএমপি কমিশনার মোহাঃ শফিকুল ইসলাম বিপিএম (বার) বলেন, আমি তখন চট্টগ্রামের ডিআইজি ছিলাম। জঙ্গি বিরোধী অভিযানে সারারাত সীতাকুণ্ডে। রাত অনুমানিক ১টার সময় স্যার ফোন করে বললেন, অভিযানের কী অবস্থা। আমি বললাম স্যার একটি বাড়িতে এখনও ২২ জন জিম্মি আছেন। স্যার বললেন সকালে অভিযানে যান। আমি সকালে অভিযানে যাবার আগে স্যারকে ফোন করলাম। স্যার আমাকে বাবার মতো করে বললেন, সাবধানে থাকবেন, নিজের জীবনের খেয়াল রাখবেন। এটাই আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা আমাদের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা নিয়ে নিশ্চিত থাকতে পারি কারণ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশের নিরাপত্তার দায়িত্বটি তাঁর মত একজন যোগ্য লোকের নিকট দিয়েছেন।’

অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধের সময়ের ঘটনাবলির স্মৃতিচারণ করেন রণাঙ্গণে তাঁর (আসাদুজ্জামান খান) সহযোদ্ধা জনাব রেজাউর রহমান জানু। স্বাগত বক্তব্য দেন পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স এর চেয়ারম্যান কামরুল হাসান শায়ক। আরও বক্তব্য রাখেন অধ্যক্ষ আব্দুর রশিদসহ প্রমুখ।

‘নন্দিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসবে’ দেশ বরেণ্য সাহিত্যক, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক ও সুশিল সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে মোনাজাত ও দোয়া পরিচালনা করেন শোলাকিয়া ঈদগা জামাতের ইমাম মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ।

সূত্রঃ ডিএমপি নিউজ





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন