পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিসের মধ্যে রয়েছে সৌহার্দ্যপূর্ণ পারস্পরিক পেশাগত সম্পর্ক : আইজিপি

দ্বারা zime
০ মন্তব্য 165 দর্শন

 

তখন দুপুর সোয়া বারটা। হঠাৎ করেই বেজে উঠল ফায়ার এলার্ম। নিচে নেমে চোখে পড়ল পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের একটি ভবন থেকে ধোঁয়া বেরোচ্ছে। না এটা কোন অগ্নিকান্ডের ঘটনা নয়, অগ্নিনির্বাপন মহড়া।

পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে আজ বুধবার দুপুরে এক সফল অগ্নিনির্বাপন, উদ্ধার ও বহির্গমন মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স এ মহড়ায় সহযোগিতা করেছে।

মহড়া শেষে ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি), বাংলাদেশ ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার) বলেন, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার নার্ভ সেন্টার। এখানে পুলিশ, সিভিল কর্মকর্তা-কর্মচারী মিলে প্রায় ২২শ’ সদস্য দায়িত্ব পালন করে থাকেন। এছাড়া রয়েছে রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দলিল। অগ্নিকাণ্ডসহ অন্যান্য দুর্ঘটনা থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারী ও রাষ্ট্রীয় ডকুমেন্ট রক্ষা করা অত্যন্ত জরুরি। অগ্নিকাণ্ড সম্পর্কে সকলকে সচেতন করার জন্য এ অগ্নিনির্বাপন মহড়ার আয়োজন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের পরামর্শ অনুযায়ী পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে অগ্নিনির্বাপন সামগ্রী স্থাপন করেছি। তিনি পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে প্রতি তিন মাস পর পর এবং বছরে অন্তত একবার পূর্ণাঙ্গ অগ্নিনির্বাপন মহড়া আয়োজনের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশ প্রদান করেন।

আইজিপি বলেন, প্রতিবছর আমাদের দেশে অগ্নিকাণ্ডে অনেক মানুষের জীবন হানি ঘটে এবং সম্পদ ধ্বংস হয়। অথচ সচেতন থাকলে অগ্নিকাণ্ড থেকে প্রাণহানি ও সম্পদের ক্ষতি কমানো যায়। এজন্য প্রয়োজন অগ্নিনির্বাপন মহড়া। তিনি অগ্নিকাণ্ড সম্পর্কে সচেতন হওয়া বিশেষ করে বহুতল ভবনে নিয়মিত অগ্নিনির্বাপন মহড়া আয়োজনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

আইজিপি বলেন, অগ্নিকাণ্ডসহ যে কোনো দুর্ঘটনা ও উদ্ধার অভিযানে পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিস যৌথভাবে দায়িত্ব পালন করে থাকে। পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিসের মধ্যে রয়েছে সৌহার্দ্যপূর্ণ পারস্পরিক পেশাগত সম্পর্ক। তিনি এ ধরনের একটি সফল মহড়া আয়োজনের জন্য ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন