বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহের ১২৯তম তিরোধান দিবস উপলক্ষে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর ছেঁউড়িয়ার আখড়াবাড়িতে তিন দিনব্যাপী লালন স্মরণোৎসব আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে।

‘বাড়ির কাছে আরশিনগর, সেথা এক পড়শি বসত করে’ লালন শাহের এই আধ্যাত্মিক গানের স্লোগানে বুধবার রাত ৮টায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ এমপি স্মরণোৎসব উদ্বোধন করেন।

এ উপলক্ষে লালন একাডেমির মূলমঞ্চে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন তিনি।

লালন একাডেমির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মো. আসলাম হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- কুষ্টিয়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম আলতাফ জর্জ, কুষ্টিয়া-১ আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম সরওয়ার জাহান বাদশা, খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন, কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এসএম তানভির আরাফাত ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রবিউল ইসলাম প্রমুখ।

প্রধান আলোচক ছিলেন- কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. শাহিনুর রহমান। আলোচনা শেষে মূলমঞ্চে একাডেমির শিল্পীরা লালন ফকিরের আধ্যাত্মিক গান পরিবেশন করেন।

উল্লেখ্য, ১২৯৭ বঙ্গাব্দের পহেলা কার্তিক উপমহাদেশের সবচেয়ে প্রভাবশালী সাধক বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহের মৃত্যুর পর থেকে তার স্মরণে লালন একাডেমি ও জেলা প্রশাসন এই স্মরণোৎসব চালিয়ে আসছে। এবারও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় লালন একাডেমি এ স্মরণোৎসবের আয়োজন করেছে।

ইতোমধ্যে আধ্যাত্মিক গুরু ফকির লালনকে স্মরণ ও নিজেকে চিনে সোনার মানুষ হতে দেশ-বিদেশের হাজার হাজার লালন অনুসারী, ভক্ত আর দর্শনার্থীরা এখন আখড়াবাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন।

অন্যদিকে আখড়াবাড়ি চত্বরে কালী নদীর তীরে জমে উঠেছে লালনমেলা। উৎসবকে নির্বিঘ্ন করতে সিসিটিভি, ওয়াচ টাওয়ারসহ প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তাব্যবস্থা। লালন উৎসব শেষ হবে শুক্রবার রাতে।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন