বাজেটের আগেই ১৬ টাকার বেনসন ১৮ টাকা : অভিযোগের তীর ডিলার শেখ ব্রাদার্সের দিকে

দ্বারা zime
০ মন্তব্য 957 দর্শন

 

আসন্ন বাজেট কে সামনে রেখে সাতক্ষীরায় ১৬ টাকা দামের বেনসন সিগারেট ১৮ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।শাতাধিক মুদি দোকানদার অভিযোগ করে বলেন মেসার্স শেখ ব্রাদাস, সাতক্ষীরা ডিলার ব্রিটিস টোবাকো লিমিটেড এর ডিলার জাহিদ  প্রতিবছর মে মাসে থেকে সিগারেটের দাম বেড়ে যাবে, বিধায় মার্কেটে সিগারেট সরবরাহ কমিয়ে দেন।মার্কেটে সিগারেট সরবরাহ বন্ধ করে দিলে দোকানদার রা সাতক্ষীরা বড় বাজার থেকে বেশি দামে বেনসন ও গোল্ডলিফ সিগারেট ক্রয় করে আনেন কোম্পানির চাইতে বেশি দামে। ফলে কাস্টমার দের কাছে দোকানদার রা বিক্রি করছেন সিগারেট প্রতি ২ টাকা বেশি মুল্যে।

শহরের কয়েক জন দোকানদার জানান,আগে বেনসন সিগারেট কিনতাম কোম্পানির কাছ থেকে ২৮৫ টাকা প্রতি পার্কেট।কোম্পানির লোক সিগারেট সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়াতে আমরা বড় বাজার থেকে প্রতি প্যাকেট বেনসন সিগারেট কিনছি ৩১০ টাকা মুল্যে। যার কারনে ১৬ টাকার সিগারেট ১৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অথচ বাজেটে এখনো সিগারেটের দাম বাড়ার ঘোষণা দেন নি সরকার। শহরের শাতাধিক দোকানদার অভিযোগ করে বলেন, প্রতি বছর মে মাস আসলে ডিলার জাহিদ নিজের ব্যক্তিগত টাকা দিয়ে ২-৩ কোটি টাকার বেনসন + গোল্ডলিফ সিগারেট কিনে রাখেন মার্কেটে সরবরাহ বন্ধ করে।সেই মজুদ করা সিগারেট জুলাই মাসে ডিলার জাহিদ চড়া মুল্যে মার্কেটে বিক্রি করে দেন।

ফলে প্রতি বছর জুলাই মাসে মেসার্স শেখ ব্রাদাস, সাতক্ষীরা ডিলার ব্রিটিস টোবাকো লিমিটেড এর ডিলার জাহিদ কোটি টাকা লাভ করেন বেনসন ও গোল্ডলিফ সিগারেট বিক্রি করে।একাধিক বিশ্বস্ত সুত্র জানায়,ডিলার জাহিদ এর গোডাউন ও বাড়িতে মোটে না হলেও কয়েক কোটি টাকার বেনসন, গোল্ডলিফ সিগারেট মজুদ করা আছে।ভোক্তা অধিকারের কর্মকর্তারা যদি ডিলার জাহিদদের অফিস গোডাউন এবং তার বাসায় অভিযান চালায় তাহলে কয়েট কোটি টাকার সিগারেট উদ্ধার করা যাবে।

মো: মফিজুল ইসলাম মুক্ত (মোবা-01721835352) তিনি অভিযোগ করে  জানান, মেসার্স শেখ ব্রাদাস, সাতক্ষীরা ডিলার ব্রিটিস টোবাকো লিমিটেড এর ম্যানেজার জুয়েল জুন /২৩ মাসে সিগারেটের দাম বাড়বে এই ভয় দেখিয়ে ডারবি সিগারেটের দাম প্রতি পেটিতে ১ হাজার টাকা বেশি দামে বিক্রি করছেন। যে আইননত অপরাধ।তিনি আরো জানান,ডিলার জাহিদ ও তার ম্যানেজার জুয়েলের নিকট সাতক্ষীরা জেলার শতশত দোকানদার ও ক্রেতা জিম্মি হয়ে পড়েছে।শহরের প্রাণ কেন্দ্রে নবারন স্কুল মোড়ে বসে প্রশাসনের চোখে ধুলো দিয়ে বছরের পর বছর যাবৎ এমন রমরমা ব্যবসা করে যাচ্ছে শেখ ব্রাদাসের পরিবেশক জাহিদ হোসেন।তার কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন সাতক্ষীরা জেলার ৭ উপজেলার মুদি ব্যবসাীরা।সাতক্ষীরা শহরের প্রত্যেকটি মুদি দোকানীর কাছে জিজ্ঞাসা করলে এ ঘটনার সত্যতা মিলবে।
তাই অবিলম্বে ডিলার কে আইনের আওতায় আনার জন্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সাতক্ষীরা, ভোক্তা অধিকার সাতক্ষীরা সহ সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন জেলার ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী গণ




০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন