মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে বিজয় দিবস পালন করেছে চট্টগ্রামের মানুষ।
বিজয়ের ৪৯তম বার্ষিকীতে বুধবার সকাল থেকেই রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত হন চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখার শপথ নেন বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান থেকে।
সকালে চট্টগ্রাম নগরীর কোর্ট হিলে ৩১ বার তোপধ্বনি দেওয়া হয়। সকাল ৮টায় নগর পুলিশের একটি চৌকস দলের ‘গার্ড অব অনারের’ মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানোর আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে বেলা ১২টা পর্যন্ত শ্রদ্ধা নিবেদন চলে।
তবে করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় এবারে শহীদ মিনারে ভিড় ছিল কিছুটা কম।
সকালে শুরুতেই শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন।
এরপর চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদ, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন, চট্টগ্রাম নগর পুলিশ কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াসসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা শ্রদ্ধা জানান।
ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ, সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান এবং সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্করের নেতৃত্বে মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীরা শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
এরপর চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, চট্টগ্রাম জেলা শাখা, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, ছাত্র ইউনিয়ন, যুব ইউনিয়ন, ছাত্রমৈত্রী, বোধন, প্রমা, উদীচী, খেলাঘরসহ বিভিন্ন সংগঠন শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানায়।
শ্রদ্ধা জানানো শেষে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেন, “আমরা বাংলাদেশের মানুষ ধর্মপ্রাণ, কিন্তু ধর্মান্ধ নই। আমরা জাতির পিতার আদর্শে বলিয়ান। সকল ষড়যন্ত্র নস্যাৎ এবং ধর্মের নামে রাজনৈতিক ভেদাভেদ দূরে ঠেলে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।”