রাজধানীতে বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা নিয়ে একত্রিত হয়েছিল হরকাতুল জিহাদ আল ইসলাম বাংলাদেশের (হুজি) ছয় সদস্য। সংগঠনকে শক্তিশালী এবং কারাগারে আটক সদস্যদের জামিনের অর্থ সংগ্রহে তারা বেশ কিছুদিন ধরে পরিকল্পনা করছিল।
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে রাজধানীর বাড্ডার সাতারকুল এলাকায় অভিযান চালিয়ে ছয় হুজি নেতাকে গ্রেপ্তার করে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি)। পরে জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতদের কাছ থেকে পরিকল্পনার কথা জানতে পারে সিটিটিসি।
শুক্রবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানায় ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ও সিটিটিসি প্রধান মনিরুল ইসলাম।
আটকরা হলেন- হুজির ডাকাত দলনেতা বিল্লাল হোসেন, নুর আলম, রফিকুল ইসলাম, আবুল মিয়া, আব্দুর রহমান ও আকতার হোসেন।
মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ কোনো স্থাপনায় ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ কিংবা বড় ধরণের নাশকতার পরিকল্পনা ছিল হুজি সক্রিয় সদস্যদের। এ কারণে তারা বাড্ডার সাতারকুল এলাকায় মিলিত হয়েছিল। তারা মুলত হুজির একটি ডাকাতি দলের সদস্য। এই গ্রুপের বর্তমান দলনেতা বিল্লাল হোসেন।’
‘২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে থাকা হুজির নেতা উজ্জল রতনের নির্দেশ অনুযায়ী তারা একত্রে মিলিত হয়। সংগঠনকে শক্তিশালী করা ও কারাগারে আটক সদস্যদের জামিনের জন্য অর্থ সংগ্রহের উদ্দেশ্য তারা নানা পরিকল্পনা করছিল। ইতোমধ্যে তারা দেশের বিভিন্ন স্থানে কয়েকটি ডাকাতির ঘটনায় জড়িত ছিল। এই গ্রুপের ১২ জন সদস্য গত ৪ মার্চ অস্ত্র ও বিস্ফোরকসহ গ্রেপ্তারের পর নতুন করে সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করেছিল।’
সিটিটিসি প্রধান বলেন, ‘২০১৬ সালে হলি আর্টিজান বেকারি হামলার যে সক্ষমতা জঙ্গিদের ছিল। এরপর দেশব্যাপী অভিযানে অনেক জঙ্গি আস্তানা ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে অনেককে। এখন আর জঙ্গিদের সে রকম হামলা করার সক্ষমতা নেই।’
হুজি সাংগঠনিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছে। তাদের এই ডাকাতির গ্রুপটির দুই একজন এখনো বাইরে আছে। তাদের ধরতে চেষ্টা চলছে বলেও জানান মনিরুল ইসলাম।