সাতক্ষীরা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ২ যুবক কে ১১০ পিস ইয়াবা সহ আটক করেছে। আটককৃতের মধ্যে ভোমরায় বাড়ি কথিত সোর্স ৮টি মাদক মামলার আসামী ফারুক হোসেন ও ভোমরার মাসুম বিল্লাহ রয়েছে।এর মধ্যে ফারুক হোসেন(৩৫) নবাতাকাটির মৃত সলেমান সরদারের ছেলে। আর মাসুম বিল্লাহ ভোমরা দাস পাড়ার -মৃত ছব্বাত আলীর ছেলে।
থানা পুলিশের সুত্র জানায়,সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান, পিপিএম এঁর দিক নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(প্রশাসন ও অপরাধ) মোঃ সজীব খাঁন ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মীর আসাদুজ্জামানের তত্ত্বাবধানে সাতক্ষীরা থানার অফিসার ইনচার্জ আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান এঁর নেতৃত্বে এসআই/ মোঃ হাদিউর রহমান সঙ্গীও এএসআই/সাইমুন ঢালী, এএসআই/আনিচুর রহমান, এএসআই মাজহারুল ইসলাম ও ফোর্স শনিবার সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভোমরা পোর্ট সাকিনস্থ গনেশ পারকিং এর সামনে মাসুদের মুদি দোকানের সামনে পাকা রাস্তার উপর অভিযান চালিয়ে কথিত সোর্স ফারুক হোসেন ও মাসুম বিল্লাহ কে আটক করে পুলিশ।এসময় সোর্স পরিচয় প্রদানকারী মাদক ব্যবসায়ী ফারুক হোসেনের নিকট থেকে ৭০ পিস এবং মাসুম বিল্লাহর নিকট থেকে ৪০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে সাতক্ষীরা থানার অফিসার ইনচার্জ আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান জানান, সোর্স হোক আর যেই হোক মাদকে কোন ছাড় নেই।তিনি জানান আটককৃত আসামীদের নামে সাতক্ষীরা থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের পূর্বক আটককৃতদের আজ ই বিঞ্জ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
প্রাসংঙ্গত : জনস্রুতি আছে কোন একটি আইন-শৃংখলা বাহিনীর সোর্স পরিচয়ে ভোমরার ফারুক হোসেন দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ব্যবসা করে আসছে।নাম প্রকাশ না করার স্বার্খে ভোমরা এলাকার এক জনপ্রতিনিধি বলেন, সোর্স পরিচয় প্রদানকারী ফারুক হোসেন মাসে ২-১ টা কাজ দেয়, বিনিময়ে সোর্স পরিচয়ে দাপোটের সাথে সে ইয়াবা বিক্রি করে।ঐ জনপ্রতিনিধি আরো বলেন প্রকৃত মাদক ব্যবসায়ীরা নবাগত পুলিশ সুপারের ভয়ে বেশির ভাগ পলাতক রয়েছে। তবে সোর্সরা নির্ভয়ে মাদক বিক্রি করে যাচ্ছেন।তিনি আরো বলেন যাচাই-বাছাই করেই সোর্স নিয়োগ করা উচিৎ।