কুষ্টিয়ায় অসহায় বৃদ্ধার ঘর তৈরী করে দিলেন পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাত পিপিএম(বার)।

আমিরুন নেছা, বয়স ৮০ ছুঁইছুঁই। স্বামী সন্তান না থাকায় পালিত নাতির সাথে বাস করতেন। সর্বশেষ আমপানের আঘাতে একটি দোচলা ঘরে ঘরটি পড়ে যায়। মাথা গোঁজার একমাত্র ঠাঁই হারিয়ে তিনি চিন্তায় পড়ে যান। খবরটি জানার পর পরই তার বাড়িতে ছুটে যান পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত পিপিএম(বার) । অসহায় নারীকে খাদ্য সহায়তা দেয়াসহ নতুন ঘর তৈরির প্রতিশ্রুতি দেন কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার।

এবার সেই অসহায় বৃদ্ধ মহিলাকে ব্যক্তিগত উদ্যোগে বাড়ি তৈরী করে দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এস এম তানভির আরাফাত। এ সময় পুলিশ কর্মকর্তা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

কুষ্টিয়া শহর লাগোয়া হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের শালদহ গ্রামের বাসিন্দা আমেরুন নেসা। বয়স প্রায় ৮০ ছুঁই ছুই। এক নাতী ছাড়া তিনকুলে আর কেউ নেই তার। সম্বল বলতে স্বামীর ভিটায় ভাঙাচোরা একটি দোচালা ঘর। সাম্প্রতিক প্রলঙ্কারী ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তান্ডবে তার সেই ঘরটি ভেঙে পড়ে। পরে ফেসবুকে এ ব্যাপারে একটি পোষ্ট দেখতে পান কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এস এম তানভির আরাফাত। পরে তিনি ওই বৃদ্ধাকে একটি ঘর তৈরী করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
বড় থাকার একটি রুমের পাশাপাশি একটি বারান্দা ও সাথেই একটি টয়লেট নির্মাণ করা হয়েছে। পাশাপাশি থাকার জন্য একটি খাট, ফ্যান ও আলনাসহ অন্যান্য ফার্নিচার উপহার দিয়েছেন পুলিশ সুপার।

বুধবার সকালে পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত নিজে গিয়ে বৃদ্ধার কাছে ঘরটি হাস্তন্তর করেন। ঘর পেয়ে খুশি হয়ে বৃদ্ধা পুলিশ সুপারকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্তি পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান, আজাদ রহমান, আতিকুর রহমান আতিক, ইউপি চেয়ারম্যান সম্পা মাহমুহ, হরিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মিলন মন্ডল, কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক আনিসুজ্জামান ডাবলুসহ গনমাধ্যম কর্মিরা।

পুলিশ সুপার তানভির আরাফাত জানান, ভাল কাজ করার মধ্যে যে কি আনন্দ তা বলে বোঝানো যাবে না। এ বৃদ্ধার কষ্টের কথা জেনে আমি তার বাড়িতে এসেছিলাম। তার কষ্ট দেখে খুবই খারাপ লেগেছিল। রজমান মাস হওয়ায় আমার সহধর্মিনী জাকাতের টাকা দিয়ে বৃদ্ধার ঘরটি নির্মাণের কথা বললে আমিও সেই মোতাবেক পদক্ষেপ গ্রহণ করি। জাকাতের অর্থ দিয়ে ঘরটি নির্মাণ করে দিয়েছি। তিনি বাকি জীবন যাতে ভাল ভাবে থাকতে পারেন। পাশাপাশি তার ফার্নিচারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আজ নতুন ঘরটি তার কাছে হস্তান্তর করতে পেরে নিজের্কে সব থেকে সৌভগ্যবান মনে হচ্ছে। পুলিশের একজন সদস্য হিসেবে আমি গর্বিত।’
এর আগে পুলিশ সুপার ফিতা কেটে ঘরটি উদ্বোধন করেন। চাবি তুলে দেন বৃদ্ধার হাতে।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন