মাগুরায় সদর উপজেলার বাহারবাগে বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রীনসিটি গুচ্ছগ্রামের উদ্বোধন করেছেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ড.মুহা: আনোয়ার হোসেন হাওলাদার। গোপালগ্রাাম ইউনিয়নের গৃহহীন দরিদ্র ৪০ টি পরিবারের আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে স্থাপিত হয়েছে এ গুচ্ছগ্রাম।

প্রধান অতিথি গ্রীণ সিটিতে ফলজ বৃক্ষরোপন এবং ফলক উন্মোচনের মধ্য দিয়ে এর উদ্বোধন করেন।

এর আগে মাগুরা জেলা প্রশাসক ড. আশরাফুল আলমের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছাড়াও বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার খান মুহাম্মদ রেজোয়ান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আবু নাসির বাবলু, জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল ফাত্তাহ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আফাজ উদ্দিন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সুফিয়ান, মাগুরা গ্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শামীম খান, গোপালগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নাজমুল হাসান রাজিব।

১ একর ২০ শতাংশ জমিতে ঘরবপ্রতি দেড় লাখ টাকা ব্যায়ে নির্মিত ৪০টি দুই কক্ষ বিশিষ্ট ঘরের এই গ্রীণ সিটিতে ৪০টি গৃহহীন ভূমিহীন হতদরীদ্র পরিবার ঠাঁই পেয়েছেন। এসব পরিবারের অধিকাংশই নারী; স্বামী পরিত্যাক্তা।

গ্রীণ সিটিতে রয়েছে একটি মিলনায়তন। যেখানে নিয়মিতভাবে পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। যাতে করে তারা নানা আয়বর্ধক কার্যক্রমে নিজেদের সম্পৃক্ত করতে পারেন।

এ ছাড়া গ্রীণ সিটিতে মাছ চাষের জন্য রয়েছে একটি খামার। রয়েছে হাঁস-মুরগী পালনের ব্যবস্থা। রোপন হয়েছে বিভিন্ন ফলদ ও ওষধী বৃক্ষ। রয়েছে শিশুদের বিনোদন ও খেলাধুলার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা। দুই কক্ষের প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ ব্যবস্থার পাশাপাশি রয়েছে অত্যাধুনিক টয়লেট ও পরিবেশবান্ধব চুলা। জাতীয় পতাকার রঙের আদলে সুবজ ও লাল রঙের মিশ্রনে সেমি পাকা টিনসেডে প্রতিটি ঘরকে রঙ দিয়ে এ গ্রীণ সিটিকে সাজানো হয়েছে। ঘরের চালার টিনগুলো সবুজ হওয়ায় দুর থেকে এই গ্রীণ সিটিকে সবুজ আচ্ছাদিত মনে হয়।

জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আবাসন সুবিধার পাশাপাশি এখানে স্থান পাওয়া পরিবারগুলো আয়বর্ধক নানা কর্মসূচিতে সম্পৃক্ত হবেন। পাবেন সরকারি সব সুবিধা।

এখানে স্থান পাওয়া পরিবারগুলোর মধ্যে ছখিনা খাতুন, জাহেদা বেগম, মিতু খাতুনসহ অন্যরা জানান, নিজস্ব ঘর না থাকায় তারা এতো দিন কেউ বাবার বাড়িতে, কেউ বা অন্যের বাড়িতে আশ্রিত ছিলেন। এখন মাথা গুজার ঠাঁই পাওয়ায় তারা সামনের দিনগুলোতে আরো সুন্দর করে বাঁচার স্বপ্ন দেখছেন।

মাগুরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সুফিয়ান জানান, ভূমি মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে গুচ্ছগ্রাম দ্বিতীয় প্রকল্পের আওতায় এই গ্রীণসিটি স্থাপিত হয়েছে। তবে অন্যান্য গুচ্ছগ্রাম থেকে এটির নকশা, স্থাপনা ও কার্যক্রমে ভিন্নতা আনা হয়েছে। এর আগে মাগুরা সদরের জগদলে ১৫টি ভূমিহীন হতদরিদ্র পরিবারের জন্যে স্থাপিত হয়েছে পিংক ভিলেজ। যেটি সারা দেশে এখন অনন্যো মডেল। একইভাবে এই গ্রীণসিটি অনুকরণীয় একটি কাজ হিসাবে চিহিৃত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন