মাগুরায় ডিজিটাল প্রতারক শফিকুল ইসলাম গ্রেপ্তার

দ্বারা zime
০ মন্তব্য 373 দর্শন

 

ছেলেটির নাম শফিকুল ইসলাম(২২),পেশায় সে একজন রাজমিস্ত্রি। ফেইজবুকে মেয়ের নাম দিয়ে আইডি খুলে বিভিন্ন ছেলেদের কাছে রিকুয়েস্ট পাঠায়।ছেলেরা রিকুয়েস্ট এক্সেপ্ট করলে ম্যাসেজ্ঞারে হাই দেয়।ছেলেরা তার ছবি দেখতে চাইলে ইন্টারনেট থেকে থেকে বিভিন্ন মেয়েদের ছবি সংগ্রহ করে নিজের ছবি বলে ছেলেদের কাছে পাঠায়।এক পর্যায়ে ছেলেরা ভিডিও কল দিলে সে স্কিনের উপরে কাপড় দিয়ে নিজের চেহারা লুকিয়ে রাখে।

ঘনিষ্ঠতার একপর্যায়ে ছেলেরা তাদের কাপড় খুলে তাকে পুরুষাঙ্গ দেখিয়ে নাচানাচি করে। এসময় সে ছেলেদের উলঙ্গ ভিডিও একটি এ্যাপ্সের মাধ্যে রেকডিং করে। পরে পুরুষদের সেই নগ্ন ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেবার নাম করে ব্লাক মেইল করে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় ডিজিটাল প্রতারক শফিকুল।

পরে এক ভুুক্তভোগী প্রতারকের ফেইজবুক আইডি ও তার টাকা চাওয়ার মোবাইল নাম্বার উল্লেখ করে এয়ারপোর্ট থানা সিলেট এর জি আর ৩৫৬/২০ জিটাল নিরাপত্তা আইনে  মামলা করলে আসামী ধরতে অভিযানে নামেন মাগুরার শালিখা সার্কেলের সিনিয়র পুলিশ সুপার আবির সিদ্দিকী শুভ্রর তত্বাবধানে মহম্মদপুর থানার ওসি তারক বিশ্বাসের নেতৃত্বে ন হাটা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক মোঃ বোরহান উল ইসলাম, এস আই / রফিকুল সহ সংঙীয় ফোর্স।

তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে এক পর্যায়ে ৩০ নভেম্বর ২০২০ তারিখ অভিযান চালিয়ে ডিজিটাল প্রতারক শফিকুল ইসলাম কে আটক করতে সক্ষম হয় পুলিশ।

আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে নহাটি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক বোরহানুল ইসলাম আপডেট সাতক্ষীরা কে জানান, এয়ারপোর্ট থানা সিলেট এর জি আর ৩৫৬/২০ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এর এজাহার নামীয় আসামি শফিকুল ইসলাম কে আটক করা হয়েছে। তিনি জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বীকারোক্তি দিয়েছে তার কাছে প্রায় ৫০ জন চাকুরীজীবী /ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন পেশার পুরুষদের উলঙ্গ ভিডিও আছে কিন্তু কোনো নারীদের ভিডিও নেই।তিনি জানান,আটককৃত আসামী প্রায় ১০-১৫ জনের কাছ থেকে ব্রাক মেইল করে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।তিনি আরো জানান আগামীকাল সকালে তাকে বিঞ্জ আদালতে সোপর্দ করা হবে।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন