দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার বরগুনা (দক্ষিণ) প্রতিনিধি, প্রবীণ সাংবাদিক আব্দুল আলীম হিমু আর নেই। তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়ে বুধবার দিবাগত রাত পৌনে একটায় ঢাকার ইউনিভার্সাল মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে মারা যান (ইন্নালিল্লাহি–রাজিউন)।
তার বয়স হয়েছিল ৬৪ বছর। এ সময় তিনি স্ত্রী, একপুত্র ও এক কন্যাসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে যান।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেল চারটায় বরগুনা সার্কিট হাউস মাঠে নামাজে জানাজা শেষে বরগুনা শহরতলীর বাঁশবুনিয়া গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে মরহুম আবদুল আলীম হিমুর মরদেহ দাফন করা হবে।
গত ২৮ আগস্ট আব্দুল আলীম হিমু করোনা পজিটিভ হয়ে সস্ত্রীক বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি হন। শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাকে গত ৫ সেপ্টেম্বর সকালে এয়ার এম্বুলেন্স যোগে রাজধানী ঢাকার মহাখালীর ইউনিভার্সাল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
বরগুনা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য আবদুল আলীম হিমু ছিলেন বরগুনার সাবেক এমএলএ মরহুম আবদুল কাদের মিয়ার কনিষ্ঠ ছেলে। যৌবনে তিনি জাসদ এর বরগুনা জেলা কমিটির সভাপতি ছিলেন। পরে ইত্তেফাকের বরগুনা (দক্ষিণ) প্রতিনিধি হিসেবে দীর্ঘ ২৫ বছরের অধিক সময় ধরে আমৃত্যু কর্মরত ছিলেন। তিনি বরগুনা প্রেসক্লাবের সাত বারের নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন।
বরগুনার সাংবাদিক জগতের বটবৃক্ষ আবদুল আলীম হিমু বরগুনার প্রথম সংবাদ পত্র সাপ্তাহিক বরগুনা কণ্ঠ ও দৈনিক বরগুনা কণ্ঠ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক ছিলেন। তার প্রতিষ্ঠিত সংবাদ পত্রে কাজ করে আজকের অনেকেই দেশের খ্যাতনামা দৈনিকের স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে সুনামের সহিত কাজ করে যাচ্ছেন।
সাংবাদিক আবদুল আলীম হিমুর মৃত্যুতে গভীর শোক ও পরিবারবর্গের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ্যাড. ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, বরগুনা জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ ,বরগুনার পুলিশ সুপার মো: মারুফ হোসেন, সাবেক সংসদ সদস্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. দেলোয়ার হোসেন, জেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক ও বরগুনা চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আলহাজ মো. জাহাঙ্গীর কবির, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মনিরুল ইসলাম, পৌর সভার মেয়র মো. শাহাদাত হোসেন, বরগুনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এ্যাড. সঞ্জীব দাস, সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর মো. সালেহ প্রমুখ।