♠♠♠♠
বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক বর্তমানে ‘স্বর্ণযুগে’ রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের বর্তমান অবস্থাকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘সোনালী অধ্যায়’ বা ‘স্বর্ণযুগ’ বলে অভিহিত করেছেন।
দুপুরে সারদায় পুলিশ একাডেমিতে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী ভবন ও আইটি সেন্টার উদ্বোধন এবং দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরের পর তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে এসব কথা বলেন।

রাজনাথ বলেন, ‘ভবনটির নাম মৈত্রী; এক কথায় আমাদের সম্পর্কের মূল সুর মৈত্রী। আজ ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক একটি উচ্চতায় পৌঁছেছে।’
ভারত ও বাংলাদেশ অস্থিতিশীলতা ও সন্ত্রাসী শক্তির মোকাবেলায় সব সময় হাতে হাত মিলিয়ে চলেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন,‘আমাদের অংশীদারিত্ব, আমাদের জনগণের সমৃদ্ধির পাশাপাশি তাদেরকে মৌলবাদ এবং চরমপন্থার হাত থেকে রক্ষা করার জন্যও কাজ করছে।’

শুধু ভারত ও বাংলাদেশ নয়, সমগ্র অঞ্চলে মৌলবাদ এবং
চরমপন্থার বিস্তার একটি গুরুতর হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় অঙ্গীকারের সর্বোচ্চ প্রশংসা করি আমরা। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে তার সরকারের ‘শূন্য-সহনশীলতা’ নীতি আমাদের সকলের জন্য অনুপ্রেরণাদায়ক। আমাদের জনগণের এবং এ অঞ্চলের শান্তি, নিরাপত্তা ও উন্নয়ন নিশ্চিত করতে নিরাপত্তা সংস্থাসমূহের মধ্যে চমৎকার সহযোগিতা রয়েছে, যার প্রতি আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকি।’
‘ঘৃণা, সহিংসতা ও সন্ত্রাসের মতাদর্শ থেকে দুদেশের জনগণ ও সমাজকে রক্ষার অভিন্ন অঙ্গীকার থেকে এ সহযোগিতার উৎপত্তি’, বলেন তিনি।
এই যুদ্ধে ভারত বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলে জানান রাজনাথ।
ভারত ও বাংলাদেশ অভিন্ন ইতিহাস, ভাষা, সংস্কৃতি, পরিবার ও আত্মীয়তার বন্ধনে আবদ্ধ এক বিশেষ সম্পর্ক বহন করে। উভয় দেশ একটি সমন্বিত বাহিনী হিসেবে স্বাধীনতা যুদ্ধে লড়াই করেছে, যা সাম্প্রতিক ইতিহাসে পারস্পরিক আস্থার এক অনন্য দৃষ্টান্ত বলে রাজনাথ মন্তব্য করেন।
এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, পুলিশ প্রধান আইজিপি ড.জাবেদ পাটোয়ারী সহ বাংলাদেশ ও ভারতের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

শুক্রবার তিনদিনের সফরে বাংলাদেশে আসেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। রবিবার ঢাকায় অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ ভারত-বাংলাদেশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে অংশ নেবেন তিনি।
শনিবার রাজশাহী যাওয়ার আগে সকালে তিনি গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং ঢাকায় যমুনা ফিউচার পার্কে একটি ভারতীয় ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার উদ্বোধন করেন।
তথ্যঃডেইলি সাতক্ষীরা ডটকম।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন