♠♠♠♠
জাবালে নূর পরিবহনের বাসচাপায় দিয়া খানম মিম ও আবদুল করিম নিহতের পর গোটা দেশে একটি আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। নিরাপদ সড়ক দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তারই একটি বাস্তবায়ন হলো শনিবার। সকালে মিম ও করিমের সহপাঠীরা চলাচলের জন্য প্রধানমন্ত্রীর থেকে ৫টি বাস উপহার পেয়েছেন।
শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ঢাকা সেনানিবাসের শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষকে বাসগুলো দেয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে বিআরটিসির চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ ভূইয়া এ উপহার তুলে দেন। কলেজের পক্ষে গাড়ির চাবি গ্রহণ করেন ঢাকা অঞ্চলের ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক এবং ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড স্কুল ও কলেজের প্রধান পৃষ্ঠপোষক লজিস্টিকস এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল আতাউল হাকিম সরওয়ার হাসান।
বাসগুলোর মধ্যে একটি দ্বিতল, তিনটি একতল ও একটি ৩০ আসন বিশিষ্ট কোস্টার রয়েছে।
এ সময় শহীদ রমিজউদ্দিন কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি অধ্যক্ষ নূর নাহার ইয়াসমিন, শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।
শহীদ রমিজউদ্দিন কলেজের শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীরা উপহারের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
উল্লেখ্য, গত ২৯ জুলাই দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জাবালে নূর পরিবহনের একটি বেপরোয়া বাস বিমানবন্দর সড়কের জিল্লুর রহমান ফ্লাইওভারের গোড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের চাপা দেয়।
এতে শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির আবদুল করিম এবং একাদশ শ্রেণির দিয়া খানম মিম নিহত হয়।
এ ঘটনায় মিমের বাবা জাহাঙ্গীর ফকির রোববার রাতে ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন। বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে হত্যার অভিযোগ আনা হয় ওই মামলায়।
সূত্রঃখুলনার কন্ঠ ডটকম।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন