জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে কৃষির গুরুত্ব অনুধাবন করেছিলেন। তাঁর হাত ধরেই আজকের কৃষিতে স্বাবলম্বী ও উন্নত বাংলাদেশ এসেছে। এক সময় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও চিংড়ি-কাঁকড়া উৎপাদনে ভরপুর দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের শিল্প ও বন্দরের উন্নয়নকে গলা চেপে ধরা হয়েছিলো। বাংলাদেশের স্বাধীনতায় অবিশ্বাসীদের সীমাহীন অবহেলার শিকার হয়েছিলো এই অঞ্চল। তবে পদ্মাসেতু বাস্তবায়িত হলে দেশের জিডিপিতে এক শতাংশ এবং এই অঞ্চলের প্রবৃদ্ধিতে তিন শতাংশ অবদান রাখবে। নতুন প্রাণের সঞ্চার হবে। এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।
খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমের উদ্বোধনী ও ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানোর প্রধান অতিথি শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দ্বীপু মনি এসকল কথা বলেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, অগ্রসরমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে কৃষি ও বিজ্ঞানের উন্নত প্রযুক্তিসম্পন্ন জ্ঞান বিস্তার ঘটানোর যে অঙ্গীকার খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আইনে আছে তা দেশের কৃষিতে বিপ্লবের জন্য যথেষ্ট। নাগরিকের মর্যাদাপূর্ণ জীবন ও পেটভরে খেতে পাওয়ার মাধ্যমে শহীদের আত্মা শান্তি পাবে বলে জাতির পিতা বিশ্বাস করতেন। তিনি ভাবতেন এ স্বাধীনতা ব্যর্থ হয়ে যাবে যদি বাংলার মানুষ পেট ভরে ভাত না পায়, এই স্বাধীনতা পূর্ণ হবে না যদি বাংলার মা বোনেরা কাপড় না পায়, যুবক শ্রেণি চাকুরি না পায়। নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে হীনমন্যতায় না ভোগার জন্য শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, তোমরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে রইলে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোঃ সোহরাব হোসাইন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. এম. শাহ্ নওয়াজ আলি, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া, প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব-২ ওয়াহিদা আক্তার, খুলনা মেট্্েরাপলিটন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কমিশনার সরকার রকিবুল ইসলাম, খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন ও খুলনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. শহীদুর রহমান খান।
এরপর দুপুরে শিক্ষামন্ত্রী খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষামেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, ব্যক্তি জীবনে রাজনীতি না করলেও রাজনীতি সচেতন হতে হবে। অনেক মূল্যে কেনা এ দেশে স্বাধীনতা বিরোধী ও নারী বিদ্ধেষীদের আশ্রয় হতে পারে না। কেবল ভাল শিক্ষার্থী হলে চলবে না দেশকে ভালবাসতে হবে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোঃ সোহরাব হোসাইন ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্রেজারার প্রফেসর সাধন রঞ্জন ঘোষ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান।