মেয়েটি ফোন দেয় জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ, অতপরঃ ঘটনা জেনে নেয় কলটেকার। ফতুল্লা থানার ওসিকে যুক্ত করে দেন ফোনে। বিস্তারিত জানতে পেরে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয় পুলিশ। তিন তলার ফ্লাটের পিছনের কক্ষ থেকে শেকলে বাঁধা অবস্থায় পাওয়া যায় মেয়েটিকে। বাসায় থাকা বাবা, মা ও মেয়েটিকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় মূল ঘটনা। শেকলের তালা খুলে উদ্ধার করা হয় তাঁকে। জড়িত থাকার অপরাধে আটক করা হয় তার বাবা ও মাকে।

মেয়েটির বয়স ২০ বছর। ঢাকার একটি কলেজের অনার্সের ছাত্রী সে। ভিন্ন ধর্মের ছেলের সঙ্গে প্রেম করে কয়েকবার বাড়ি ছেড়েছে আগে। গত ১৪ এপ্রিল থেকে বাবা মা তাঁকে শেকলে বেঁধে আটকে রাখে বাসার অভ্যন্তরে। সুযোগ পেয়ে ০৬ মে সন্ধ্যায় নিজেই ফোন দেন ৯৯৯ এ। আটক বাবা ও মায়ের বিরুদ্ধে ফতুল্লা থানায় নিজেই পেনাল কোড ৩৪২ ধারার অভিযোগ করেন। মামলা রুজু করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয় এজাহার নামীয় আসামি বাবা ও মাকে। ভিকটিম মেয়েটিকে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। বিজ্ঞ আদালতে জবানবন্দি প্রদান শেষে নিরাপদ হেফাজতে রাখার জন্য আবেদন করা হয়। আদালত ভিকটিম পূর্ণ বয়স্ক হওয়ায় তাঁকে নিজ জিম্মা প্রদান করেন। এভাবেই ৯৯৯ ও পুলিশের সহযোগিতায় ২৩ দিনের শেকল বাঁধা জীবনের অবসান ঘটে মেয়েটির।

সূত্রঃPHQ Media.





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন