আওয়ামী লীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার সকাল ৮টার দিকে রাজধানীর ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী।
প্রথমে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ও পরে আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দলের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান শেখ হাসিনা।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচির উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা। এর পর শান্তির প্রতীক সাদা পায়রা অবমুক্ত করার পাশাপাশি বেলুন ওড়ানো হয়।
দলটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও সারা দেশে দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় এবং দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
পরে এক বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগই দেশ ও জাতিকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যায়। আওয়ামী লীগ দেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্য মুক্ত করবে।’
শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা ও মন্ত্রিপরিষদের কয়েকজন সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
১৯৪৭ সালে সম্পূর্ণ পৃথক দুটি ভূখণ্ড, স্বতন্ত্র ভাষা ও সংস্কৃতির অঞ্চল নিয়ে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার মাত্র ৪ মাস ২০ দিনের মধ্যে তখনকার তরুণ যুবনেতা শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি গঠন করেন সরকারবিরোধী ছাত্র সংগঠন পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ।
এরই ধারাবাহিকতায় পরের বছর ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন ঢাকার স্বামীবাগে কেএম দাস লেনের রোজ গার্ডেনে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর উদ্যোগে আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে গঠন করা হয় পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ।
মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী সভাপতি, টাঙ্গাইলের শামসুল হক সাধারণ সম্পাদক, শেখ মুজিবুর রহমানকে (কারাবন্দি ছিলেন) যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক করে গঠিত হয় আওয়ামী (মুসলিম) লীগের প্রথম কমিটি।
১৯৫৫ সালে এই দল ধর্মনিরপেক্ষতাকে আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করে। দলের নামকরণ হয় ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ।’
মুক্তিযুদ্ধের পরে পাকিস্তান শব্দটি বাদ গিয়ে দলটি ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ’ নামে কার্যক্রম শুরু করে।