সরকারি চাকুরী মানে তো সোনার হরিণ।আর পুলিশের চাকুরী মানে তো বিশাল ব্যাপার।সবার ধারনা ছিলো পুলিশ কনস্টেবলে চাকুরী পেতে ১০-১২ টাকা ঘুষ লাগে আর মামা-খালুর টেলিফোন তো থাকতেই হবে।কিন্তু ১০০ টাকায় পুলিশের চাকুরী দিয়ে আগের সকল ধারনা পাল্টে দিলেন কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাত পিপিএম(বার)।
সূত্র জানায় কোন প্রকার টাকা পয়সার লেনদেন ছাড়াই কুষ্টিয়া জেলায় পুলিশ কনস্টবলে নিয়োগ পেয়েছেন ৭৫ জন্য মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী। গত পহেলা জুলাই ২০১৯ খ্রিঃ তারিখ কুষ্টিয়া জেলায় কনস্টবল নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয় এবং সকল প্রকার প্রভাবমুক্ত থেকে চুড়ান্ত স্বাস্থ্য পরীক্ষা ব্যাতীত নিয়োগ প্রক্রিয়ার সকল ধাপ সম্পন্ন হয়েছে।
সূত্র আরো জানায়,কনস্টেবল নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি ছিলেন কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাত পিপিএম(বার)।নিয়োগ বোর্ডের অন্য দুই সদস্য বাহিরের জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার দুই কর্মকর্তা।এছাড়া পুলিশ হেড কোয়ার্টার থেকে আগত গোয়েন্দা টিম সব সময় নিয়োগ প্রক্রিয়াকে মনিটরিং করেছে।
বৃহস্পতিবার পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাত পিপিএম(বার)সকল পরীক্ষার্থী, সকল প্রিন্ট এবং ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের উপস্থিতে লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষার ফলাফল হিসাবে ৭৫ জন প্রার্থীর নাম ঘোষনা করেন।এসময় পুলিশ সুপার বলেন,আমি সবাই কে ধন্যবাদ জানাই যাদের সকলের সহযোগিতায় একটি দূর্ণীতি মুক্ত নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন করতে পেরেছি।
কুষ্টিয়ার জেলা পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের পরিদর্শক নাম প্রকাশ না করার স্বর্তে প্রতিবেদক কে জানান,নিয়োগের পনের দিন আগের থেকে কুষ্টিয়া জেলাব্যাপি মাইকিং করা হয়েছে যে নিয়োগ বানিজ্যে কেউ জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।তাছাড়া এবার নিয়োগ প্রক্রিয়া ছিলো সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম ধর্মী।এখানে কোন তদবীর,কোন টাকা-পয়সায় পুলিশে কারো চাকুরী হয়নি।শুধুমাত্র ১০০ টাকা ব্যাংক চালান জমা দেওয়া ছাড়া চাকুরীতে আর কারো কোন টাকা খরচ হয়নি।সম্পূর্ণ মেধা ও যোগ্যতাায় ৭৫ জনের চাকুরী হয়েছে।