ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ।
‘আমাদের জাতীয় অর্থনীতিতে বাংলাদেশের জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীর অবদান’ শীর্ষক অভিসন্দর্ভের জন্য তিনি এই ডিগ্রি অর্জন করেন।
বৃহস্পতিবার (২ মে) র্যাব ফোর্সেস সদরদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্সুরেন্স বিভাগ থেকে এবং বিজনেস স্টাডিজ ফ্যাকাল্টির ডিন প্রফেসর শিবলী রুবায়েত উল ইসলামের তত্ত্বাবধানে ডিবিএ প্রথম ব্যাচের প্রথম শিক্ষার্থী হিসেবে (রেজি নং-১৩/২০১৪-২০১৫) বেনজীর ডক্টর অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (ডিবিএ) ডিগ্রি অর্জন করেন। তার গবেষণা মূলত বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী থেকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীতে নিয়োজিত শান্তিরক্ষীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল।
বেনজীর আহমেদ তার অভিসন্দর্ভে জাতীয় অর্থনীতিতে পুলিশ শান্তিরক্ষীদের অবদান এবং শান্তিরক্ষা মিশনসমূহ প্রায় তিন দশক দায়িত্ব পালন লব্ধ অভিজ্ঞতা দেশের পুলিশ সংগঠনে ইতিবাচক পরিবর্তনে কী ধরনের ভূমিকা পালন করেছে সেটি তুলে আনার চেষ্টা করেছন।
এর আগে বেনজীর আহমেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে এম.এ ও এল.এল.বি ডিগ্রি লাভ করেন। পরবর্তীতে তিনি এম.বি.এ ডিগ্রিও অর্জন করেন।
বেনজীর আহমেদ পেশাগত বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াইয়ে এশিয়া প্যাসিফিক সেন্টার ফর সিকিউরিটি স্ট্যাডিজ (এপিসিএসএস), অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরার চার্লস স্টার্ট ইউনিভার্সিটি এবং সিঙ্গাপুরে বিশ্বব্যাংক আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে পড়াশোনা করেন।
১৯৮৮ সালে বেনজীর আহমেদ সপ্তম বিসিএসের মাধ্যমে পুলিশ ক্যাডারে সহকারী পুলিশ সুপার পদে যোগ দেন। বর্তমান দায়িত্বের পূর্বে তিনি প্রায় সাড়ে চার বছর ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বেনজীর একাধিকবার জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনেও কর্মরত ছিলেন। এছাড়া তিনি জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বিভাগে চিফ অব মিশন ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড সাপোর্ট সার্ভিসেস হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত জাতিসংঘ সদরদপ্তরেও গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করেছেন।
কর্মদক্ষতায় তিনি আইজিপির এক্সজাম্পলারি গুড সার্ভিস, তিনবার জাতিসংঘ শান্তি পদক প্রাপ্ত হন। এছাড়া তিনি সরকার কর্তৃক সর্বমোট পাঁচবার পেশাগত সর্বোচ্চ পদক বাংলাদেশ পুলিশ মেডেলে (বিপিএম) ভূষিত হন।