“ত্রাণ চাই না, চাই টেকসই বেড়িবাঁধ,” একইসাথে চাই আরো কিছু নতুন সাইক্লোন শেল্টার ও ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাট সংস্কার। মঙ্গলবার দুপুরে খুলনার নবাগত বিভাগীয় কমিশনার ড. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা পরিদর্শনকালে ত্রাণ বিতরণের সময় ক্ষতিগ্রস্ত দুর্গতরা এসব কথা বলেন। তিনি এ সময় ক্ষতিগ্রস্ত শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা, পদ্মপুকুর, বুড়িগোয়ালিনীসহ বিভিন্ন এলাকা নদী পথে পরিদর্শন করেন।
এ সময় তার সাথে আরো উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল, শ্যামনগর উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউল হক দোলন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুজ্জামান, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মমতাজ আহমেদ বাপী, সিনিয়র সাংবাদিক দৈনিক প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জি, প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ,এটিএন বাংলার জেলা প্রতিনিধি ও ভয়েস অফ সাতক্ষীরার সম্পাদক এম. কামরুজ্জামান, গাবুরা ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদুল আলম, সাবেক চেয়ারম্যান সম. লেলিন প্রমুখ।
খুলনা বিভাগীয় কমিশনার এ সময় প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরির ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়ে বলেন, ত্রাণ নিয়ে যেন কোন ধরনের অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ না ওঠে সেজন্য এ বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে যাতে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি হয় সেজন্য স্থানীয় প্রশাসন ইতিমধ্যে কাজ করছে। তিনি আরো বলেন, প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করে তা সরকারের কাছে পাঠানো হবে।
ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, উপকূলবর্তী এলাকার টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণে সরকার ইতিমধ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। অর্থসহ কোন কিছুর সীমাবদ্ধতা নাই। যেটা প্রয়োজন সেটাই করতে সরকার সমর্থক বলে তিনি আরো জানান।
তিনি এ সময় বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের দাতিনাখালী এলাকার ১০০ জন ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন।
ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে খুলনা বিভাগীয় কমিশনার বিকালে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সাথে এক সমন্বয় সভায় মিলিত হবেন।