খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ সমাবর্তন আজ। গোটা ক্যাম্পাস উৎসবমূখর। সমাবর্তন অনুষ্ঠানের সকল প্রস্তুতি চূড়ান্ত। সমাবর্তনে আগত প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পদাচারণায় মুখরিত ক্যাম্পাস।

ক্যাম্পাসে বিভিন্ন একাডেমিক ভবন, প্রশাসনিক ভবন, হলসমূহ, উপাচার্যের বাসভবনসহ গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও অবকাঠামো অলোকসজ্জা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ভিতরে ও নগরীর দর্শনীয় স্থানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ, প্রধানন্ত্রী শেখ হাসিনা, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি’র পোর্টেট ছবি শোভা পাচ্ছে। পাঁচ হাজার অতিথি ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন আধুনিকমানের বিশাল প্যান্ডেল ও মঞ্চ তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে। এবারই এই প্রথম খুলনায় এ ধরনের আধুনিক প্যান্ডেলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ক্যাম্পাসের রাস্তায় চলছে আল্পনা ও অন্যান্য সাজসজ্জা।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রপতিকে বরণ করার জন্য এখন অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল সমাবর্তন অনুষ্ঠান স্থলসহ গোটা ক্যাম্পাসকে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। গোটা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এখন নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা। উপাচার্য মর্যাদাপূর্ণ ও গৌরবোজ্জ্বল এ সমাবর্তন অনুষ্ঠানের প্রাক্কালে বিশ্ববিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে সকল মহলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে সবার সহযোগিতা কামনা করেছেন।

এদিকে সমাবর্তনের মূল অনুষ্ঠানসূচি অনুযায়ী খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছে মূল অনুষ্ঠানপূর্বে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনির্মিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের অদূরে নবনির্মিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ‘কালজয়ী মুজিব’ উদ্বোধন করবেন। পরে তিনি সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।

সমার্বতন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি থাকবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এবং বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ। সমাবর্তন বক্তার বক্তব্য রাখবেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সমাজবিজ্ঞানী প্রফেসর ড. অনুপম সেন। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্জনসহ গুরুত্বপূর্ণ দিক উল্লেখ করে বক্তব্য প্রদান করবেন। এছাড়া স্বাগত বক্তব্য রাখবেন ট্রেজারার প্রফেসর সাধন রঞ্জন ঘোষ।

সমাবর্তন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী পরিষদের কয়েকজন সদস্য, খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, সংসদ সদস্যবৃন্দ, সচিববৃন্দ, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যবৃন্দ, সামরিক ও বেসামরিক, বিভাগীয়, জেলা পর্যায়ের প্রশাসন, বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংস্থার কর্মকর্তাবৃন্দ, নির্বাচিত স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ার প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানা হয়েছে।

১৯৯০-৯১ শিক্ষাবর্ষ থেকে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে এর আগে ৫টি সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম সমাবর্তন ১৯৯৭ সালের ১০ এপ্রিল, দ্বিতীয় সমাবর্তন ২০০১ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি, তৃতীয় সমাবর্তন ২০০৭ সালের ১৯ মার্চ, ৪র্থ সমাবর্তন ২০১০ সালের ২৮ ডিসেম্বর এবং ৫ম সমাবর্তন ২০১৫ সালের ২৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয়।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন