পুনর্দখল জায়গা উদ্ধারে তুরাগ নদীর তীরে বিশেষ অভিযানের তৃতীয় দিনে ২১২টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। এ নিয়ে তিন দিনে ছোট-বড় মিলিয়ে উচ্ছেদ হয়েছে ৭২০টি অবৈধ স্থাপনা। এর মধ্য দিয়ে উদ্ধার হলো পুনর্দখল হওয়া ১৬ একর জায়গা।
আজ রবিবার তুরাগতীরে তৃতীয় দিনের মতো অভিযান পরিচালনা করে বিআইডব্লিউটিএ। নৌপরিবহন সচিব আবদুস সামাদ এঁর দিক নির্দেশনা মোতাবেক এই অভিযানের নেতৃত্ব দেন সংস্থাটির যুগ্ম পরিচালক (ঢাকা নদীবন্দর) এ কে এম আরিফ উদ্দিন।
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে চালানো অভিযানে উদ্ধার হওয়া জায়গার বেশ অংশ পুনর্দখল হয়েছে। তুরাগ নদের পুনর্দখল, পুনর্ভরাট ঠেকাতে তীরভূমিতে উচ্ছেদ, অবৈধ স্থাপনা অপসারণে এই বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছে বিআইডব্লিউটিএ।
আজ ছোট-বড় মিলিয়ে ২১২টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে নিশ্চিত করে আরিফ উদ্দিন বলেন, এর মধ্যে রয়েছে একটি একতলা পাকা ভবন, ৭টি আধাপাকা ভবন, ৪টি পাকা প্রাচীর ও ২০০টি টিনের ঘর। উচ্ছেদকৃত মালামাল ৮ লাখ ৮০ হাজার টাকায় নিলামে বিক্রি করা হয় বলে জানান তিনি। এ ছাড়া দখলদারদের জরিমানা করা হয়েছে ২০ হাজার টাকা।
গত ১৯ ডিসেম্বর থেকে তুরাগ নদের তীরভূমি উদ্ধারে বিশেষ অভিযান শুরু করে বিআইডব্লিউটিএ। প্রথম দিনে ৪০টি ও দ্বিতীয় দিয়ে ৪৬৮টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ হয়। তিন দিনে ১৬ একর জায়গা অবমুক্ত করার পাশাপাশি দখলদারের জরিমানা করা হয়েছে ৯ লাখ ৪০ হাজার টাকা। দখলের দায়ে একজনকে দুই বছরের কারাদ- দেয় সংস্থাটির ভ্রাম্যমাণ আদালত।
কাল সোমবার নদের কামারপাড়া ব্রিজ থেকে আশুলিয়া ধউর ব্রিজ অভিমুখে তুরাগ নদের উভয় পাশে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার কথা রয়েছে।
ঢাকার নদী রক্ষায় চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি বুড়িগঙ্গা, তুরাগ ও বালু নদীতে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে সংস্থাটি। চার পর্বে ৫০ দিনের অভিযানে উদ্ধার করা হয় ১২১ একর জমি।
বুড়িগঙ্গা, তুরাগ ও বালু নদীর উভয় তীর মিলিয়ে সর্বমোট ১৫৭ কিলোমিটার তীরভূমিতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এ সময় মোট ৭২৫টি পাকা স্থাপনা, ৯৮৬টি আধাপাকা স্থাপনা, ৩২১টি সীমানা প্রাচীর ও অন্যান্য দুই হাজার ৭৪০টি অবৈধ স্থাপনাসহ মোট চার হাজার ৭৭২টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
ওই সব অভিযানের পর বেশ কিছু এলাকায় পুনরায় বেদখল হতে শুরু করে তীরভূমি।