দেশে করোনাভাইরাসের ঝুঁকির মধ্যেই অর্থনৈতিক ক্ষতি কিছুটা পোষাতে রাজধানীর বেশকিছু পোশাক কারখানা খুলে দিয়েছে সরকার। তবে এসব কারখানায় ঢাকা ও আশপাশে অবস্থান করা শ্রমিকদের দিয়ে চলবে; বাইরে থেকে কোনো শ্রমিক আসবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) সচিবালয়ে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ’র প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে মন্ত্রী এ কথা জানান।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা আমাদের জানিয়েছেন, তারা কোনো শ্রমিককে ইনভাইট (ঢাকায় আসতে বলেননি) করেননি। এবং তারা ভবিষ্যতেও করবেন না, যে পর্যন্ত পরিস্থিতির উন্নতি না ঘটবে।’

তিনি বলেন, ‘কাজেই তারা স্পষ্ট করে আমাদের জানিয়ে দিয়েছেন এবং তাদের বেতনের ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করেছেন। কাজেই শ্রমিকদের অনাহুত হয়ে ঢাকায় আসার কোনো কারণ নেই।’

বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, দূরদূরান্ত থেকে কোনো শ্রমিক আনছি না। আনতে চাচ্ছি না। তারপরও বাস্তবতা হলো অনেকে চলে আসছেন। তাদের আমরা ডিসকারেজ করার চেষ্টা করছি।

তিনি বলেন, ‘ঈদে আমরা চাচ্ছি তারা আবার গ্রামে ফিরে না যাক। ছুটিটা আমরা কীভাবে দেব, আমরা আরেকবার বসব ঈদের আগে। ওসব ব্যাপারগুলো একটু শর্টআউট করার জন্য।’

৯৭ ভাগ কারাখানায় মার্চের বেতন দেয়া হয়েছে। বাকিদেরও নির্ধারিত সময়ে বেতন দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয় সভায়। এ ছাড়া সভায় শ্রমিকদের সুরক্ষা নিশ্চিতসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।

বৈঠকে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, পুলিশ মহাপরিদর্শক(আইজিপি) ড.বেনজীর আহমেদ বিপিএম(বার), বিজিএমইএ সভাপতি রুবানা হক উপস্থিত ছিলেন।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন