পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম-বার  বলেছেন, থানায় বসে হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা হতে পারে না, হবে না।


আজ মঙ্গলবার রাজারবাগ পুলিশ মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল।


বাংলাদেশ পুলিশে সর্বাধুনিক অপারেশনাল গিয়ার প্রচলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন উপলক্ষে ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে প্রশ্ন ছিল, পুলিশের মহাপরিদর্শক থানার কার্যক্রমে স্বচ্ছতা আনার কথা বলে আসছেন। সম্প্রতি গণমাধ্যমে থানায় বসে হত্যা পরিকল্পনার খবর বেরিয়েছে। থানার কার্যক্রমে স্বচ্ছতা আনার ক্ষেত্রে আইজিপি কি উদ্যোগ নেবেন?

গত রোববার কক্সবাজারে সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যায় অভিযোগপত্র জমা দেয় র‍্যাব। এ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, সিনহা মো. রাশেদ খানকে হত্যার পরিকল্পনা হয়েছিল টেকনাফ থানায় বসে। বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, পরিদর্শক লিয়াকত আলী ও তাঁদের তিনজন বেসামরিক তথ্যদাতা ওই ষড়যন্ত্রে অংশ নেন।

জবাবে বেনজীর আহমেদ বলেন, থানায় বসে হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা হতে পারে না, হবে না। তিনি আরও বলেন, থানায় দুর্নীতি ও দুর্ব্যবহারের অভিযোগ আছে। এ ধরনের অপরাধ থেকে দূরে থাকতে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।


ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘দুর্নীতি করলে পুলিশ থেকে চলে যাও, এটা বলা আছে। এর চেয়ে পরিষ্কারভাবে আর কী বলা যায়?’ তিনি আরও বলেন, যাঁরা ভবিষ্যতে পুলিশে যোগ দিতে চান, তাঁদের জন্যও একই বার্তা।
আজ সর্বাধুনিক অপারেশনাল গিয়ার উদ্বোধন অনুষ্ঠানেও বেনজীর আহমেদ বলেছেন, বহিরাবরণের মতো আচার–আচরণেরও পরিবর্তন ঘটাতে হবে।

আজ ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) ও চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশকে (সিএমপি) সর্বাধুনিক অপারেশনাল গিয়ার দেওয়া হলো। এখন থেকে নিয়মিত দায়িত্ব পালনের সময় পুলিশের হাতে আর বড় অস্ত্র দেখা যাবে না। পুলিশ ছোট অস্ত্র বহন করবে। এই গিয়ারের মধ্যে থাকছে ট্যাকটিকাল বেল্ট, স্মল আর্মস উইথ থাই হোলস্টার এবং হ্যান্ডস ফ্রি কমিউনিকেশনের ব্যবস্থা।

ট্যাকটিকাল বেল্টের সঙ্গে থাই হোলস্টার যুক্ত থাকবে, যার ভেতরে থাকবে ছোট অস্ত্র, এক্সপ্যান্ডেবল ব্যাটন, টর্চ, হ্যান্ডকাফ ও পানির বোতল।
ফলে বড় অস্ত্র, ওয়াকিটকি ও লাঠি—কোনোটাই পুলিশকে আর হাতে বহন করতে হবে না। এক্সপ্যান্ডেবল ব্যাটন প্রয়োজনে বড়–ছোট করা যাবে।

বেনজীর আহমেদ জানান, ক্ষুদ্রাস্ত্র তাঁদের কাছে মজুত ছিল। এই কাজে তাঁদের নতুন করে বিশেষ কিছু কেনাকাটা করতে হয়নি। বড় অস্ত্রগুলো প্রয়োজনে পুলিশ ব্যবহার করবে। সেগুলোও সংরক্ষণ করা হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, পুলিশের শরীরের সঙ্গে ভিডিও ক্যামেরা লাগানোর একটা উদ্যোগ তাঁরা আগেই নিয়েছিলেন। কিন্তু কাজটি খুব ব্যয়বহুল। তারপরও তাঁরা পর্যায়ক্রমে ভিডিও ক্যামেরা লাগানোর কাজ শেষ করবেন।


অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিএমপি কমিশনার মো শফিকুল ইসলাম, বক্তব্য দেন অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মো. মাঈনুর রহমান চৌধুরী।

সূত্র: প্রথম আলো।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন