করোনার সংক্রমণ মোকাবেলায় চলমান বিধিনিষেধের মেয়াদ আরও এক মাস বাড়িয়েছে সরকার। আগামী ১৫ জুলাই পর্যন্ত চলবে এই বিধিনিষেধ।
বুধবার বিকালে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, করোনাভাইরাসজনিত রোগ (কোভিড-১৯) সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় পূর্বের সকল বিধিনিষেধ ও কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় নিম্নোক্ত শর্তাবলী সংযুক্ত করে ও বিধিনিষেধ আরোপের সময়সীমা ১৬ জুন ২০২১ তারিখ মধ্যরাত হতে ১৫ জুন ২০২১ জুলাই ২০২১ তারিখ মধ্যরাত পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো।
শর্তগুলো হলো-
(ক) কোভিড-১৯ এর উচ্চঝুঁকিসম্পন্ন জেলাসমূহের জেলা প্রশাসকগণ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট কারিগরি কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে নিজ নিজ অধিক্ষেত্রের সংক্রমণ প্ররোধে বিধি মোতাবেক লকডাউনসহ কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন।
(খ) সকল সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস, ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করে খোলা থাকবে।
(গ) সকল পর্যটন কেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে।
(ঘ) জনসমাবেশ হয় এ ধরনের সামাজিক (বিবাহোত্তর অনুষ্ঠান (ওয়ালিমা), জন্মদিন, পিকনিক, পার্টি ইত্যাদি) রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
(ঙ) আবাসিক হোটেল, রেস্তোরাঁ ও খাবারের দোকানসমূহ সকাল ৬টা হতে রাত ১০টা পর্যন্ত খাদ্য বিক্রয়-সরবরাহ করতে পারবে এবং আসনসংখ্যার অর্ধেক সেবাগ্রহীতাকে সেবা প্রদান করতে পারবে।
(চ) সবধরনের গণপরিবহন যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন সাপেক্ষে ধারণক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচলের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করবে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার চলতি বছর প্রথমে ৫ এপ্রিল থেকে সাত দিনের জন্য গণপরিবহন চলাচলসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ জারি করে। পরে তা আরও দুদিন বাড়ানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত আরও কঠোর বিধিনিষেধ দিয়ে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ শুরু হয়। পরে তা অনেকটা শিথিল করে দফায় দফায় বাড়িয়ে এখনো চলমান।
তবে বিধিনিষেধের মধ্যেও দূরপাল্লার গণপরিবহন চলতে পারছে। হোটেলেও বসে গ্রাহক খেতে পারছেন। জরুরি কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসও খোলা। শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ।