শেখ আরিফুল ইসলাম আশা: সাতক্ষীরার কলেজ প্রভাষক মামুন হত্যা মামলার আসামী জেলা জামায়াতের সাবেক রাজনৈতিক সচিব আলতাফ হুসাইনকে আটকের পর নারায়নগঞ্জ থেকে সাতক্ষীরায় নিয়ে আসা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতে র‌্যাব-১ এর সদস্যরা তাকে সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছেন। এর আগে মঙ্গলবার রাতে তাকে নারায়নগঞ্জের রূপগঞ্জের মধুখালী এলাকার একটি বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।
আজ শুক্রবার সকালে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানিয়েছেন সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি  পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বাবুল আক্তার।

তিনি বলেন, আবাসন ব্যবস্থার নামে জমির দালালি ও প্রতারনার অভিযোগে আলতাফ হুসাইনকে র‌্যাব গ্রেফতার করে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি উল্লেখ করেন যে, আলতাফ হুসাইনের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি জামায়াত নেতা দেলোয়ার হোসেন সাইদীর ফাসির আদেশ হওয়ার পর ব্যাপক সহিংসতার মাধ্যমে সাতক্ষীরা সিটি কলেজের প্রভাষক এবিএম মামুন হত্যার মামলা হয়। এর আগে ও পরে তার বিরুদ্ধে আরও কমপক্ষে ১৩টি বিস্ফোরক ও নাশকতার কয়েকটি মামলা হয়। হত্যাসহ আরও কয়েকটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। প্রেস ব্রিফিংয়ে বলা হয়, তিনি সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্র ও পুলিশের কাজে বাধা সৃষ্টি ছাড়াও সহিংসতা এবং জেলাব্যাপী অবরোধে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগে মামলা হয়।


তিনি আরও বলেন, ২০১৩ থেকে ২০১৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাপক সহিংসতার মাধ্যমে সাতক্ষীরায় কমপক্ষে ১৭ জন নেতাকর্মীকে জামায়াত শিবিরের লোকজন হত্যা করে। তারা দলবদ্ধ হয়ে লাঠিসোটা, ধারালো অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ে সাতক্ষীরা শহর অভিমুখে উঠে আসতে থাকে। এসময় সার্কিট হাউজ মোড়ে আইনশৃংখলা বাহিনীর সাথে তাদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এতে কমপক্ষে ৭ জন সহিংসতা সৃষ্টিকারী নিহত হয়। এসব সহিংসতার ঘটনায় জেলা জামায়াতের আলতাফ হুসাইন অন্যতম নেতৃত্বের ভূমিকা পালন করেন।

প্রেস ব্রিফিংয়ে এসময় পুলিশ পরিদর্শক(ইন্টেলিজেন্স)  আব্দুল আজিজ ও সেকেন্ড অফিসার  মঞ্জরুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আজ শুক্রবার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। 





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন