দেশের সব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) পর এবার সব উপজেলা নির্বাহী অফিসারকেও (ইউএনও) পর্যায়ক্রমে বদলির নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বদলির প্রথম ধাপে ওসিদের বেলায় বর্তমান কর্মস্থলে চাকরির সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ছয় মাস, আর ইউএনওদের বেলায় তা করা হয়েছে এক বছর। অর্থাৎ একই উপজেলায় যারা এক বছর কিংবা এর বেশি সময় ধরে নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করছেন, প্রথম ধাপে তাদের বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবারের (৩০ নভেম্বর) ইসির উপ-সচিব মো. মিজানুর রহমান ওই নির্দেশনাটি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে পাঠিয়েছেন। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বড় এই বদলির নির্দেশনা দিলো ইসি।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সব উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে (ইউএনও) পর্যায়ক্রমে বদলি করার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। এ লক্ষ্যে প্রথম পর্যায়ে যেসব উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের বর্তমান কর্মস্থলে এক বছরের অধিক চাকরির সময় সম্পন্ন হয়েছে, তাদের অন্য জেলায় বদলির প্রস্তাব আগামী ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে কমিশনে পাঠানো প্রয়োজন।
এর আগে, দেশের সব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) বদলি করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রথম পর্যায়ে যেসব থানার ওসিরা বর্তমান কর্মস্থলে ছয় মাসের বেশি সময় আছেন, তাদের অন্য জেলায় বা অন্য কোনও থানায় বদলির নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।
এর আগে বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন সকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফিজুর রহমান ও পুলিশের আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন এবং বিকালে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী সাক্ষাৎ করেন। ওই সাক্ষাতের পরপরই ইসির পক্ষ থেকে এই বদলির প্রস্তাবনা আসে।
অবশ্য নির্বাচন কমিশন আগেই বলেছিল, নির্বাচন উপলক্ষে তারা প্রশাসন বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে বদলির উদ্যোগ নেবে না। সুনির্দিষ্টভাবে কোনও অনিয়ম ও অত্যাবশ্যক হলেই কেবল বদলির চিন্তা করবে।
উল্লেখ্য, সর্বশেষ ২০০১ সালের নির্বাচনের আগে এভাবে ওসিদের ঢালাও বদলি করা হয়েছিল। ওই সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান লতিফুর রহমান দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই এ বদলির আদেশ দেওয়া হয়েছিল। এরপর তিনটি সংসদ নির্বাচন গেলেও এভাবে ঢালাও বদলি হয়নি।