বাংলাদেশ পুলিশ পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রকার সামাজিক, মানবিক ও উৎসাহমূলক কার্যক্রমে ভূমিকা রেখে চলেছেন। তারই অংশ হিসেবে মানবিক পুলিশ সুপার খ্যাত মোঃ জাহিদুল ইসলাম একের পর এক গণমুখী কার্যক্রম গ্রহণ করছেন।

এরই ধারবাহিকতায় গত ০২.১০.২০২১ খ্রিঃ তারিখ দৈনিক আকাশ খবর প্রত্রিকার প্রথম পাতায় ‘‘আলমডাঙ্গায় আফু-রেশপতির দিন কাটছে অনাহারে’’ সংবাদ দেখে পুলিশ সুপার চুয়াডাঙ্গা সংবাদের বিষয়ে গোপনে খোঁজখবর নেন। সেখানে তিনি জানতে পারেন আফাজ উদ্দিন @ আফুর প্রথম স্ত্রীর ০২ ছেলে ও দ্বিতীয় স্ত্রীর ০৩ ছেলে, ০৪ মেয়ে। ২য় পক্ষের ছেলেরা কৌশলে আফুর সমস্ত সম্পত্তি লিখে নেয়, এতে অন্য সন্তানরা ক্ষুদ্ধ হয়ে বাবা মায়ের খোঁজখবর নেওয়া বন্ধ করে দেয়। যার ফলে আফাজ উদ্দিন @ আফু ও তার স্ত্রী রেশপতি বেগম আলমডাঙ্গা থানাধীন জেহালা ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামের রাস্তার পাশে একটি টিনসেড ঘরে অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছে। বছর তিনেক আগে রেশপতি বেগম প্যারালাইজড হয়ে শয্যাশায়ী অবস্থায় আছেন। বর্তমানে কোন পক্ষের সন্তানই আফু-রেশপতির খোঁজখবর নেয়না।

গত ০৫.১০.২০২১ খ্রিঃ তারিখ বিকাল অনুমান ১৬.৪৫ ঘটিকায় মানবিক পুলিশ সুপার  মোঃ জাহিদুল ইসলাম ০২ মাসের জীবনযাপন সামগ্রী নিয়ে ছুটে যান আলমডাঙ্গা থানার কৃষ্ণপুর গ্রামের অসহায় আফু-রেশপতি দম্পতির কাছে। পুলিশ সুপার’কে দেখে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন আফু-রেশপতি দম্পতি।

পুলিশ সুপার তাদেরকে পিতা-মাতার মর্যাদায় জীবন যাপনের দায়িত্ব গ্রহণ করে নতুন পোষাক, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য, চিকিৎসার ঔষধসহ নগদ অর্থ প্রদান করেন। সেখানে আফু-রেশপতি দম্পতির সাথে পুলিশ সুপার আবেগঘন কিছু সময় কাটান এবং তিনি বলেন আমাদের প্রত্যেকের উচিত পিতা-মাতাকে সর্বোচ্চ সম্মান দিয়ে খেদমত করা।

এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল)  মোঃ আনিসুজ্জামান,  মোঃ সাইফুল ইসলাম অফিসার ইনচার্জ, আলমডাঙ্গা থানা, জেহালা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হান্নানসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

পুলিশ সুপার চুয়াডাঙ্গা বলেন চুয়াডাঙ্গাবাসীর যে কোন প্রয়োজনে তার দুয়ার ২৪ ঘন্টা খোলা। তিনি সমাজের সর্বস্তরের সামর্থবান মানুষ’কে অসহায় সুবিধা বঞ্চিতদের দিকে একটু সু-দৃষ্টি দেয়ার অহবান জানান। এ সময় তিনি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাসহ সকল বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলাবাসীর সহযোগীতা কামনা করেন।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন