খুলনার পাইকগাছায় সংখ্যা লঘু মায়ের কাছে, বিক্রিত শিশুকে ফিরিয়ে দিল ওসি বিপ্লব

দ্বারা zime
০ মন্তব্য 400 দর্শন

========================================—–
সিটিজেন জার্নালিস্ট(জিমি):
বিভিন্ন সংবাদ পত্রে খবর প্রকাশের পর পাইকগাছা, থানা অফিসার ইনচার্জ অবশেষে নবজাতককে ৮ দিন পর ফেরত দিল মায়ের কাছে। অভাব-অনাটন ও একাধিক কন্যা সন্তানের কারণে নবজাতককে গত ১৩ ডিসেম্বর ৪ হাজার ২শ টাকায় বিক্রি করে ক্লিনিকের পাওনা টাকা পরিশোধ করে। বিষয়টি কয়েক দিন পর জানাজানি হলে কয়েকটি দৈনিকে খবর প্রকাশিত হয়। বিভিন্ন মহলে খবরটি ছড়িয়ে পড়লে পাইকগাছা থানা ওসি আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, নিঃসন্তান লক্ষ্মণ সরদার পরিবার ও নবজাতকের মা সুভাসী সরদারকে বৃহম্পতিবার থানায় ডেকে আনে। উভয় পরিবারের কাছে জেনে শুনে নিজ পকেট থেকে উক্ত টাকা দত্তক পরিবারকে ফেরৎ দিয়ে নবজাতককে তাদের পরিবারের হাতে তুলে দেন ওসি। খুলনার পাইকগাছা ফারিন হস্পিটালে গত ১২ ডিসেম্বর স্মরণখালী গ্রাম, বর্তমান পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের দিলিপ সরদারের স্ত্রী সুভাসী এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেয়। এর পূর্বে এ পরিবারে একাধিক কন্যা সন্তান থাকায় নবজাতকের প্রতি চরম অবহেলা ও অযতœ দেখা দেয়। এমনকি জন্মের পরেও তাকে বুকের দুধও পর্যন্ত দেয়া হয়নি বলে জানা গেছে। বিষয়টি জানার পর পৌরসভার সরল গ্রামের লক্ষ্মণ সরদারের স্ত্রী কবিতা রাণী সরদার ১৩ ডিসেম্বর সকালে উক্ত হাসপাতালে যেয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে শিশুটি নেয়ার জন্য আগ্রহ দেখায়। এক পর্যায়ে শিশুটির বাবা-মা ক্লিনিকের টাকা পরিশোধের দাবী করে। কবিতা রাণী সরদার নবজাতকের পরিবারের কাছে নগদ ৪ হাজার ২শ টাকা দিলে সন্তানটিকে হস্তান্তর করা হয়। হসপিটাল পরিচালক জি,এম, জাকির হোসেন মিন্টু জানান, হসপিটালের পাওনা পরিশোধ করে শিশুটিকে তার বাবা-মা নিয়ে যায়। বাইরে কি হয়েছে আমি জানি না। শিশুটির মা সুভাসী জানায়, অভাবের কারণে শিশুটি আমাদের আত্মীয়দের মধ্যে দিয়েছি। লক্ষ্মণ চন্দ্র সরদার জানান, তাদের কোন সন্তান না থাকায় শিশুটিকে তার স্ত্রী কবিতা রাণী সরদার দত্তক কিনেছে। ওসি আমিনুল ইসলাম বিপ্লব জানান, শিশু বিক্রির বিষয়টি জানার পর আমি শিশুটিকে তাদের বাবা-মায়ের কাছে ফেরত দিয়ে নিজেকে ধন্য মনে করছি।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন