১৯৭৮ সালের স্বর্ণালী সেই স্মৃতিতে ফিরে গেলেন সমীর কুমার দে। চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার বেলগাছি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। আবার তিনি ২৬ তম কমিশনার হিসেবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সর্বোচ্চ এ চেয়ারে আসীন হওয়া মোহাম্মদ শফিকুল ইসলামের জ্যেষ্ঠ বন্ধু হিসেবেও পরিচিত।

আবেগমথিত কন্ঠস্বর নিয়ে জানান, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে নৃশংস হত্যাকান্ডের পর আওয়ামী লীগের ঘোর দু:সময়ে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন শফিকুল ইসলাম। তাঁর বাবাও ছিলেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারী।

স্থানীয় আলমডাঙ্গা ডিগ্রী কলেজে উচ্চ মাধ্যমিকে পড়ার সময় মেধাবী ছাত্র শফিকুল দলের হয়ে পোস্টার লিখে দিতেন। তাঁর হাতের লেখাও ছিল ভীষণ সুন্দর। আমরা রাতের আঁধারে সেই পোস্টার উপজেলা ও ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে সাঁটিয়ে দিতাম।’

সন্তান ডিএমপি কমিশনার, সুসংবাদ শুনে মা বললেন ‘আলহামদুলিল্লাহ’

বুধবার (২৮ আগস্ট) দিনগত রাত সাড়ে ১০ টার দিকে প্রতিবেদকের সঙ্গে কয়েক দফা মোবাইল আলাপে এমন চমকপ্রদ তথ্য উপস্থাপন করেন সীমার কুমার দে। স্মৃতির ঝাঁপি খুলে তিনি বলেন, ‘লাল-সুবজ রং গুলিয়ে পোস্টার লেখা হতো। আওয়ামী লীগ ছাত্রলীগের পোস্টার নিজ হাতে লিখে দিতেন শফিকুল। একজন মেধাবী ছাত্রনেতা হিসেবেও তাঁর বিশেষ মূল্যায়ন ছিল।’

ছাত্রজীবনে প্রয়াত শাহ আব্দুল করিমের গাওয়া পল্লীগীতির প্রতি টান ছিল শফিকুল ইসলামের। কলেজ শেষ করে কখনো কখনো তিনি জ্যেষ্ঠ বন্ধু বা সহপাঠীদের নিয়ে ছুটে যেতেন স্থানীয় পল্লীগীতি শিল্পী রইছ উদ্দিনের বাড়িতে। সেখানে গানের আসরে নিজেও পল্লীগীতি গাইতেন।

অবসরে খেলতেন ফুটবল। গোলকিপার হিসেবে এলাকায় নাম যশ ছিল। তবে এসব প্রতিভার পাশাপাশি তিনি এক কথায় অসাধারণ মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলেন, বলতে থাকেন তৃণমূলের এ আওয়ামী লীগ নেতা।

শফিকুল ইসলাম চুয়াডাঙ্গার মুখ উজ্জ্বল করেছেন। ঢাকা মহানগরীতে পুলিশকে ‘জনবান্ধব’ পুলিশে রূপান্তরিত করার কাজে সফল হবেন বলেও আশাবাদী উচ্চারণ করেন তাঁর এ জ্যেষ্ঠ বন্ধু।

আবেগাক্রান্ত হয়ে তিনি বলেন, ‘কাজের মাধ্যমেই তিনি (নতুন ডিএমপি কমিশনার) সরকারের আস্থা অর্জন করেছেন। মানুষের ভালোবাসা নিয়েই তিনি এ গুরুদায়িত্বেও পুরোপুরি সফল হবেন।’

– kaler Alo net





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন