দেশের অর্থনীতিতে কৃষি বড় অবদান রাখে -কৃষিমন্ত্রী

দ্বারা zime
০ মন্তব্য 338 দর্শন

 

বঙ্গবন্ধুর আদর্শ হলো নায্যতাভিত্তিক, অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক দেশ। এ আদর্শের ভিত্তিতে বাংলাদেশ গড়তে হবে। দেশের অর্থনীতিতে কৃষি বড় অবদান রাখে। কৃষির উন্নতি হলে দেশের সার্বিক উন্নতি হবে। কৃষির উন্নতি হলে এর সাথে য্ক্তু দেশের ৪০ শতাংশ লোকের জীবন বদলে যাবে। ‘বাংলাদেশের কৃষি উন্নয়নে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক এসকল কথা বেলন। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিন আজ (বৃহস্পপতিবার) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশে ধানের উৎপাদন ছিলো এক কোটি ১০ লাখ মেট্রেক টন। এখন তা তিন কোটি ৮০ লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত হয়েছে। গত বছর দেশে ৪৬ লাখ টান ভুট্টা উৎপাদন হয়েছে। কৃষির বিপুল উন্নতির ফলে স্ট্রোবেরির মতো বিদেশী ফল বাংলাদেশে বিদেশের চেয়ে বেশি ফলন দিচ্ছে। ১৯৪৩ সালের দুর্ভিক্ষে ২০-৩০ লাখ লোক মারা যায়। অতীতে চর ও হাওড় অঞ্চলের মানুষের চেহারায় দারিদ্র্যের ছাপ ছিলো। এখন বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশ। খাদ্যে উদ্বৃত্ত বাংলাদেশে দানাদার খাদ্যের উৎপাদন চার কোটি ৩০ লাখ মেট্রিক টন। বর্তমান সরকার দেশের মানুষকে পুষ্টিকর নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তা দিতে চায়। এ অঞ্চলের গবেষকদের লবণাক্তা ও পানি স্বল্পতা সমস্যা সমাধানে গবেষনা করতে হবে।

খুলনা বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, বিশ^বিদ্যায়ের ট্রেজারার প্রফেসর সাধন রঞ্জন ঘোষ ও জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ রায়হান আলী। অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন খুলনার বিভাগীয় কমিশনার ড. মুঃ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় উপপরিচালক পঙ্কজ কান্তি মজুমদার। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রফেসর ড. মোঃ সারওয়ার জাহান, স্বাগত জানান প্রফেসর ড. সরদার শফিকুল ইসলাম।

এর আগে সকালে কৃষিমন্ত্রী খুলনার দাকোপ উপজেলার তিলডাঙ্গায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) আয়োজিত উপকূলীয় এলাকার ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিতে গবেষণা কার্যক্রমের ওপর মাঠ দিবসে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন । এসময় তিনি বারি গবেষণা প্লট ও নিরাপদ সবজি গ্রাম পরিদর্শন এবং বটিয়াঘাটা উপজেলার মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের লবণাক্ততা ব্যবস্থাপনা ও গবেষণা কেন্দ্র পরিদশর্ন করেন।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন