শারীরিক প্রতিবন্ধী মো. আনিছুর রহমান। কিশোরগঞ্জের গুরুদয়াল সরকারি কলেজ থেকে দর্শন বিষয়ে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন। কিন্তু শারীরিক প্রতিবন্ধীতার জন্য যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও চাকরি হচ্ছিল না তার।
সম্প্রতি বিষয়টি দৃষ্টিগোচর হয় পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক) এর কেন্দ্রীয় সভানেত্রী জীশান মীর্জার। তিনি উদ্যোগ নেন আনিছুর রহমানের কর্মসংস্থানের। ফলশ্রুতিতে কিশোরগঞ্জ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির অফিসে চাকরি হয়েছে আনিছুরের। শুধু চাকরিই নয়, আনিছুরের জন্য একটি কম্পিউটারও উপহার দিয়েছেন পুনাক সভানেত্রী।
মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে মাস্টার্স ডিগ্রিধারী শারীরিক প্রতিবন্ধী যুবক মো. আনিছুর রহমানের কর্মসংস্থান উপলক্ষে পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক) কিশোরগঞ্জ জেলা এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে পুনাক সভানেত্রী জীশান মীর্জার পক্ষ থেকে মো. আনিছুর রহমানের হাতে চাকরির নিয়োগপত্র ও উপহারের কম্পিউটার হস্তান্তর করা হয়।
পুনাক ও পরিবহন সমিতির পক্ষ থেকে চাকরি ও কম্পিউটারের ব্যবস্থা করায় মো. আনিছুর রহমান তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
পুনাক কিশোরগঞ্জ জেলার সভানেত্রী মাহফুজা নাজনীন দিষার চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ বিপিএম (বার)। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন কিশোরগঞ্জ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির আহ্বায়ক লেলিন রায়হান শুভ্র শাহীন।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক) এর সভানেত্রী জীশান মীর্জার উদ্যোগের প্রশংসা করে পুলিশ সুপার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ বিপিএম (বার) বলেন, আনিছুর রহমানের বাবা ঝালমুড়ি বিক্রি করেন। তার একটি বোনও প্রতিবন্ধী কিন্তু শিক্ষিত। আনিছুর রহমানের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হওয়ায় পরিবারটি এখন ঘুরে দাঁড়াতে পারবে।
এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. মোস্তাক সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোহাম্মদ নূরে আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) অনির্বাণ চৌধুরী, কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ দাউদ, কিশোরগঞ্জ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সদস্য সচিব শেখ ফরিদ আহাম্মদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
