কুষ্টিয়া জেলা পু্লিশ সুপার (এসপি) মোঃ খাইরুল আলম বলেছেন, বিট পুলিশিংয়ের মাধ্যমে আমরা পুলিশি সেবাকে প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রান্তিক মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে চাই।

বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি)ড.বেনজীর আহমেদ বিপিএম-বার স্যারের নির্দেশনা হচ্ছে বিট পুলিশিংয়ের মাধ্যমে আমরা জনগনের কাছে নির্ভেজাল পুলিশি সেবা পৌঁছে দেব। যার মধ্যে স্বচ্ছতা থাকবে। সে কারনেই আমরা স্বচ্ছভাবে, নিরপেক্ষ ভাবে সব থেকে সাহসী, সৎ, যোগ্য এবং যে দেশের জন্য যে কোন চ্যালেঞ্জ গ্রহন করতে পারবে এমন লোককে বাংলাদেশ পুলিশে নিয়োগ দেব। আমরা সকল ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা মূলক কার্যক্রম করে যাচ্ছি।

শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪ টায় কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর থানা কতৃক আয়োজিত মাদক, জঙ্গিবাদ, ইভটিজিং, বাল্যবিবাহ, সাইবার ক্রাইম সহ সামাজিক অবক্ষয় প্রতিরোধে বিট পুলিশিং সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় তিনি আরো বলেন, একটি ইউনিয়ন এবং পৌরসভার ক্ষেত্রে দুই বা ততোধিক ওয়ার্ড নিয়ে একটি বিট গঠন করা হয়েছে। প্রত্যেকটা বিটে একজন সাব ইন্সপেক্টর, একজন এএসআই ও দুই জন কনস্টেবল থাকবে।আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশের আইন শৃংখলা ঠিক রাখা।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে ভিশন ২০৪১ ঘোষনা করেছেন। সেখানে বলা আছে সাসটেনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল তথা টেকসই উন্নয়ন।আর এ টেকসই উন্নয়নের জন্য দরকার হচ্ছে টেকসই আইন শৃংখলা। টেকসই আইন শৃংখলা ঠিক থাকলে সাসটেনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল অর্জিত হবে। সে লক্ষ্যে আমরা পৌছাতে পারবো। বাংলাদেশ পুলিশ সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।

এসপি মোঃ খাইরুল আলম বলেন, আমি গভীর শ্রদ্ধাভরে স্বরণ করছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে যার জন্ম না হলে আমরা স্বাধীন ও স্বার্বভৌম বাংলাদেশ পেতাম না, যার জন্ম না হলে আজকে আমরা যে বিটপুলিশিং সভা করছি এগুলো কোন কিছুই করতে পারতামনা। জাতির পিতার নেতৃত্বে যে বাংলাদেশ স্বাধীন করা হয়েছে, সেই বাংলাদেশের আয়তন ১ লক্ষ ৪৭ হাজার ৫৭০ বর্গকিলোমিটার। তখন বাংলাদেশের লোক সংখ্যা ছিল সাড়ে ৭ কোটি। আর এখন বাংলাদেশের জনসংখ্যা সাড়ে ১৭ কোটি, যেটা আজকে তারই সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত দক্ষতার সাথে পরিচালনা করছেন।তিনি দেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিনত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। দেশ সে লক্ষে এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি আধুনিক উন্নত রাষ্ট্রে পরিনত করতে চান। এ দেশকে আধুনিক ও উন্নত করতে হলে দেশের আইন শৃংখলা পরিস্থিতি ঠিক রাখতে হবে। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন মিরপুর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ আজমল হোসেন, মিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ কামারুল আরেফীন, কুষ্টিয়া পোড়াদহ ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারুজ্জামান মজনু, মিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ, সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মোশারফ হোসেন, পোড়াদহ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি মোঃ শহিদুল ইসলাম, পোড়াদহ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ তৈয়বুর রহমান মন্টু, স্থানীয় সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ সহ মিরপুর থানার সর্বস্থরের জনগন।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন