ভূমি অফিস, পাসপোর্ট অফিসে নজর রাখতে ডিসিদের প্রতি জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশনা

দ্বারা zime
০ মন্তব্য 160 দর্শন

জনগণকে সরাসরি সেবা দেয়- এমন প্রতিষ্ঠানগুলোর উপর চোখ রাখতে ডিসিদের নির্দেশনা দিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

তিনি বলেছেন, “আমাদের পাসপোর্ট অফিস, আমাদের হসপিটালগুলো, আমাদের বিআরটিএ অফিস থেকে শুরু করে যে সমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলো খুব চমৎকারভাবে কাজ করতে পারে, জনগণকে সেবাটা ভালোমত দিতে পারে; যেখানে অভিযোগগুলো আসে, ভূমি নিবন্ধন অথবা আমাদের ভূমি খারিজ করা, সেখানে যেন তারা (ডিসি) দৃষ্টি রাখে।”

বৃহস্পতিবার ওসমানী মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনে এ নির্দেশনা দেওয়ার কথা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন তিনি।

ফরহাদ হোসেন বলেন, “ডিসিরা যাতে সেবাটা একেবারে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে পারে, সেটার জন্য আমরা কাজ করছি। এবং ওইভাবে কিন্তু আমাদের নির্দেশনাগুলো দেওয়া থাকে। আর বিভিন্ন রকম সুবিধা, বিভিন্ন ধরনের কাজের আমাদের ওখানে সেবার দেওয়ার কৌশলটা আমরা নিয়েছি, তাতে করে আমরা জনগণকে সেবাটা দিতে পারি।”

স্কুল পরিদর্শনের জন্য ডিসিদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “স্কুলগুলোতে যাতে ডিসিরা ভিজিট করেন, স্কুলের লেখাপড়ার মান যাতে ভালো হয়- ডিসিরা সেগুলো ভিজিট করেন এবং খেয়াল রাখেন।”

জনগণের সাথে ভালো আচরণ করতে ডিসিদের ‍উদ্বুদ্ধ করার কথা জানিয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, “ডিসি যাতে করে- অবশ্যই তিনি গুড ম্যানেজার, তিনি যাতে করে অত্যন্ত অ্যাট্রাক্টিভ পার্সোনালিটি তার ভেতরে রাখতে পারেন। মানুষের সাথে সুন্দর আচরণ, ব্যবহার- তার ভেতরে থাকবে; যাতে যে কোনো মানুষ সাবলীল বোধ করে, স্বস্তি বোধ করে- একজন ডিসির কাছে তার সমস্যাগুলো বলার জন্য।

“আমরা মোটিভেশনাল এই কথাগুলো বলেছি। আর এই দিকনির্দেশনাগুলো দিয়েছি, যাতে একজন ডিসি সফলভাবে মাঠের প্রত্যেকটা বিষয়ের সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত করতে পারেন, উন্নয়নের সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত করতে পারেন।”

ইউএনওদের নিরাপত্তা বাড়ানো এবং পাহাড়ি জেলার উপযোগী গাড়ির দাবি জানিয়েছেন জেলা প্রশাসকরা।

সে বিষয়ে এক প্রশ্নে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “এগুলোর সাথে আমরা কিছুটা একমত। কারণ আমাদের কর্মপরিধি এখন অনেক বেড়েছে। আপনি জানেন, বাজেটের আকার অনেক বড়। এবং সেগুলো বাস্তবায়ন করতে হয়। এখন একজন ইউএনওকে অনেক কাজের সাথে জড়িত হতে হয়।

“আমরা কিন্তু প্রতি মুহূর্তে যেহেতু বাজেট বড় হচ্ছে, লোকবল বেশি লাগছে, আমরা অর্গানোগ্রামগুলা পরির্তন করছি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের। আমাদের এখন কিন্তু অনেক লোক লাগছে। এটা লাগবেই ‍যুগের চাহিদা। আপনার উন্নয়ন বাজেট যত বড় হবে, তাদেরতো লাগবে। সেখানে লোকজনও লাগবে।”

ফরহাদ হোসেন বলেন, “পাহাড়ি এলাকায় চার চাকার গাড়ির দরকার হয়, আমরা সেই গাড়িগুলো দিচ্ছি। কিন্তু তাদের বক্তব্য হলো এই গাড়িগুলো প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ করছে না।

“সেক্ষেত্রে পাহাড়ি এলাকাতে স্মুথলি চলার জন্য তারা যে পরিবহন চাচ্ছে, সেটাতে যুক্তি আছে এবং আমরা অবশ্যই বিবেচনা করব। বিষয়টি আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সিদ্ধান্ত তাদেরকে দিব।”

বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে ডিসিদের আরও আন্তরিক হওয়ার নির্দেশনা দেওয়ার কথাও জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন,  “লজিস্টিকস সাপোর্ট, ফ্যাসিলিটিজগুলো অনেক বেশি। আমাদের বাজেটের আকারটা যেহেতু অনেক বড়, তাদের কাজও করতে হচ্ছে অনেক বেশি। ১৭০০ প্রকল্প দেশে চালু আছে।

“সেই প্রকল্পগুলো যাতে ভালোভাবে বাস্তবায়ন করা যায়, সেজন্য ডিসিরা আরও বেশি সম্পৃক্ত হবেন, আরও বেশি কাজ করবেন এবং কাজগুলোকে উপভোগ করতে হবে। এবং কাজগুলো সুনিপুণভাবে করতে হবে।”

প্রকল্পগুলো আগামী নির্বাচনের আগে বাস্তবায়নের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নে ফরহাদ হোসেন বলেন, “সব প্রকল্পতো নির্বাচনের আগে শেষ হবে না। নির্বাচনের পরেও বেশ কিছু প্রকল্পের মেয়াদ আছে। যেটা যখন শেষ হওয়ার কথা, সেটা যেন সেই সময়েই শেষ হয়- সেটার জন্য আমরা বলেছি।”

নির্বাচন সামনে রেখে কী নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, এ প্রশ্নের উত্তরে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, “এ বিষয়ে আমাদের তেমন আলোচনা হয়নি। আমাদের আলোচনা হচ্ছে, একজন ডিসি সক্ষমভাবে কাজ করবেন। এবং তার কিন্তু সক্ষমতা, কারণ আমাদের মানুষের চাহিদা পূরণ করা এবং সরকারের যে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডগুলো আছে, প্রকল্পগুলো আছে- সেগুলো বাস্তবায়ন করতে পারে।

“জনমুখী জনপ্রশাসন, মানুষের সেবক হিসাবে তারা কাজ করবেন। আমরা জানি, এখন আমাদের ডিসি যারা হচ্ছেন, তাদেরকে আমরা অত্যন্ত বেছে, দক্ষ যারা, যোগ্য যারা, এডুকেশনে ভালো ব্যাকগ্রাউন্ড আছে, ফ্যামিলি ভালো ব্যাকগ্রাউন্ড আছে, তাদের যে প্রফেশনাল ব্যাকউগ্রাউন্ড- সেগুলো যাচাই-বাছাই করে আমরা তাদেরকে পদায়ন করছি। কেউ ব্যর্থ হবেন না, সকলে সফল হবেন। সে বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি।”





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন