একসময় তালা উপজেলাসহ জেলা জুড়ে চুরি, ছিনতাই ও মাদক বিকিকিনির কাজ করে অন্ধকার জগতে নাম লিখিয়েছিলেন তিনি। এ সকল অন্ধকার জগতের কাজ করার দায়ে মামলা খেয়েছেন ৬টি।

জেল-হাজতও খেটেছেন কয়েকবার। কিন্তু সব কিছু ছেড়ে এসে এখন স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার প্রত্যয় ব্যক্ত করে ভালো হতে চান তিনি। ইতোমধ্য ভালো হতে চেয়ে পুলিশ সুপার সাতক্ষীরার কাছে শরণাপন্ন হয়ে বৌ, মা ও ছেলেদের সাথে নিয়ে তালা থানায় হাজির পূর্বক আত্মসমর্পণ করেছেন তালা উপজেলার মাগুরা ইউনিয়নের চাঁদকাটি গ্রামের মৃত সওকত মোল্লার পুত্র আশরাফ মোল্লা। তিনি এখন চুরি, ছিনতাই, মাদক ব্যবসা ছেড়ে দিয়ে ইটের ভাটায় কর্ম করে সংসার চালান। আশরাফ সব কিছু ছেড়ে দিয়ে ভালো হওয়ার জন্য গর্ভধারীনি মা আনোয়ারা, স্ত্রী নারগিস বেগম, দুই পুত্র নাইম ও নয়নকে নিয়ে তালা থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন বলে জানিয়েছেন তালা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু জিহাদ ফখরুল আলম খান।

আশরাফের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মাগুরা ইউনিয়নের চাঁদকাটি গ্রামের এই আশরাফ এলাকাসহ জেলা জুড়ে বিভিন্ন স্থানে চুরি, ছিনতাই ও মাদক বিকিনিতে লিপ্ত ছিলেন। এলাকা সাধারণ মানুষ কয়েকবার চুরি হয়ে যাওয়া মালা-মালসহ তাকে আটক করে থানায় সোপর্দ করে। কিন্তু সম্প্রতি কয়েক বছর আশরাফ চুরি, ছিনতাই ও মাদক ব্যবসা ছেড়ে দিয়ে ভালো হয়ে গিয়েছে। সে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসে কাজ-কর্ম করে খায়। তার ভালো হওয়াতে এলাকায় মাদক ব্যবসা, চুরি ও ছিনতাই আনুপাতিক হারে কমে গিয়েছে।

আশরাফ মোল্লার মা আনোয়ারা বলেন, আমার ছেলেটা একসময় এলাকায় চুরি ছিনতাই করতো। এখন সে ভালো হয়ে গিয়েছে কাজ-কর্ম করে সংসার চালাই। আপনাদের কাছে অনুরোধ আমার ছেলেকে ভালো হওয়ার সুযোগ দিন।

স্বাভাবিক ফিরে আসতে চাওয়া আশরাফ মোল্লা জানান, আমি বিগত ২-৩ বছর আগে চুরি, ছিনতাই ও মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলাম। কয়েকবার এসব করার কারণে জেল-হাজত খেটেছি। কিন্তু আমার দুটি ছেলে বড় হয়েছে। তাদের মুখের দিকে তাকিয়ে সব কিছু ছেড়ে দিয়ে ইটের ভাটায় কাজ করে খাচ্ছি। আমি আর কখনও ঔসব অন্ধকার পেশায় যাবো না। আমাকে আপনারা একটু সুযোগ দেন ভালো হওয়ার জন্য।

এ বিষয়ে তালা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু জিহাদ ফখরুল আলম খান জানান, উপজেলাধীন চাঁদকাটি গ্রামের আশরাফ চুরি ছিনতাই ও মাদক ব্যবসায় যুক্ত ছিলেন। তার নামে ২টি মাদক মামলা ও ৪টি চুরি মামলা রয়েছে। সম্প্রতি এলাকায় কিছু চুরির বিষয়ে তাকে সন্দেহ করা হলে সে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের মাধ্যমে থানায় হাজির হয়ে প্রতিজ্ঞা করেছেন যে, সে আর কোনদিন চুরি, ছিনতাই ও মাদক ব্যবসা করবে না। স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চায়। তাই তাকে একটি সুযোগ প্রদান করা হয়েছে এবং আশরাফের পূর্বে অপকর্মের ৬টি মামলা হতে জামিনে আছে বলে জানতে পেরেছি।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন