সন্ত্রাসীদের বিন্দু পরিমানে ছাড় দেওয়া হবেনা : বাঘাইছড়িতে মেজর জেনারেল মতিউর রহমান।।

দ্বারা zime
০ মন্তব্য 268 দর্শন

 

 

রক্তাক্ত পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে পার্বত্য চট্রগ্রাম শান্তিচুক্তি করেছিলেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা।সশস্ত্র হামলার মাধ্যমে শান্তিচুক্তিকে অকার্যকর করা হয়েছে বলে মন্তব্য করে চুক্তিভঙ্গকারীদের কঠোর খেশারাত দিতে হবে বলে হুশিয়ারী দিয়েছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চট্রগ্রাম ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মতিউর রহমান।

বুধবার রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে সশ্বস্ত্র হামলায় হতাহতদের পরিবার বর্গ সহ স্থানীয়দের সাথে মতবিনিময় কালে জিওসি আরো বলেন দেশের মানুষের দাবী অনুযায়ী পাহাড় থেকে সরিয়ে নেওয়া ২৪০ টি সেনা ক্যাম্প আবারো স্ব স্ব স্থানে পূন:স্থাপন করা সহ আরো বেশি ক্যাম্প স্থাপন করার বিষয়টি বাংলাদেশ সরকারের বিবেচনা করা উচিৎ।

গত ১৮ মার্চ রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে সশ্বস্ত্র হামলায় নিহতদের পরিবার বর্গকে আর্থিক সহযোগীতার চেক তুলে দেওয়ার লক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্রগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার আব্দুল মান্নান,চট্রগ্রাম রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক বিপিএম(বার)পিপিএম,২০৩ পদাতিক ডিভিশনের ব্রিগেডিয়ার রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হামিদুল হক,আনসার ভিডিপির চট্রগ্রাম রেঞ্জের কমান্ডার সামছুল আলম,রাঙামাটির জেরা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ,রাঙামাটির পুলিশ সুপার মো:আলমগীর কবির,রাঙামাটির ডিজিএফআই এর পরিচালক কর্ণেল সামছুল আলম সহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

মতবিনিময় সভার আগে বেলা ১১ টায় জিওসি হেলিকাপ্টার যোগে বাঘাইছড়ি নেমে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং হতাহতদের পরিবার সদস্যদের মাঝে আর্থিক সহযোগীতা প্রদান করে ঘটনার পরবর্তী বিষয় সমূহ তাদের কাছ থেকে ধৈয্য ধরে শোনেন।

তিনি এসময় নিহতদের পরিবারকে সমবেদনা জানিয়ে বলেন আমরা সন্ত্রাসীদের বিন্দু পরিমানে ছাড় দেবোনা।সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করতে ইতি মধ্যে সেনাবাহিনী সাঁড়াশি অভিযানে নেমেছে।তিনি নিহতদের পরিবার কে শান্তনা দিয়ে বলেন আপনাদের পরিবারে কোন যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তি থাকতে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।আমরা তাদের কে চাকুরীর ব্যবস্থা করে দেবো।

উল্লেখ্য চলতি মাসে ১৮ ই মার্চ নির্বাচন শেষে ব্যালোট বাক্স ও নির্বাচনী সরঞ্জাম নিয়ে বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাচন অফিসে ফেরার সময় আঞ্চলিকদের সশ্বস্ত্র হামলায় প্রিজাইডিং অফিসার,সহকারি প্রিজাইডিং অফিসার,পলিং অফিসার ও আনমার সহ ৮ জন নিহত ও ২৮ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়।আহতরা বর্তমানে বাঘাইছড়ি হাসপাতাল,খাগড়াছড়ি হাসপাতাল, চট্রগ্রাম সিএমএইচ ও ঢাকা সিএমএইচ এ ভর্ত্তি অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন