সুন্দরবনসহ খুলনাঞ্চলে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় আম্পান। এর প্রভাবে এ অঞ্চলে ভারী বর্ষণের সঙ্গে বইছে ঝড়ো বাতাস। এরই মধ্যে ঝড়ের তাণ্ডবে কাঁচাপাকা ঘরবাড়ি ধসে পড়ার খবর মিলেছে। উপড়ে পড়েছে বহু গাছ, বিদ্যুতের পোল।
খুলনা আঞ্চলিক আওহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বুধবার (২০ মে) সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিট থেকে ঘূর্ণিঝড় আম্পান প্রথম আঘাত হানা শুরু করে।
প্রবল ঝড়ে গাছপালা ও বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়েছে। কিছু কিছু জায়গায় গাছ পড়ে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কাঁচা-পাকা ঘর ও বিদ্যুৎ সরবরাহের অবকাঠামো। নদীতে জোয়ার থাকায় কয়রা, পাইকগাছা ও দাকোপের নিম্নাঞ্চলের বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে। অনেক স্থানে নদীর পানি প্রবল বেগে আছড়ে পড়ছে জীর্ণশীর্ণ বেড়িবাঁধের উপর।
সাতক্ষীরার শ্যামনগরের গাবুরার ভেটখালিতে দু’টি স্থানে বাঁধ ভেঙে পানি লোকালয়ে ঢুকছে। সন্ধ্যার আগে অনেকেই আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন।সেখানে উদ্ধার তৎপরতার অব্যহত রেখেছেন কালিগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ জামিরুল ইসলামের নেতৃত্বে শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নাজমুল হুদা, শ্যামনগর থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত ইয়াছিন আলম চৌধুরী সহ সঙ্গীয় ফোর্স।
খুলনা আঞ্চলিক আওহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ সন্ধ্যা ৭টায় প্রতিবেদক কে বলেন, সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে ঘূর্ণিঝড় আম্পান আঘাত হানা শুরু করেছে সুন্দরবন, খুলনা, মোংলা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরাজুড়ে।
তিনি আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্পানের অগ্রভাগ বর্তমানে খুলনা উপকূল অতিক্রম করছে। যার প্রভাবে খুলনায় ৫০ কিমি বেগে দমকা থেকে ঝড়ো হাওয়া বইছে। সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ৪১ মিলি মিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।