সাতক্ষীরা সদর হসপিটালের ইএমও (নারী চিকিৎসক) কে লাঞ্চিত : সেই দিপ আবারো আটক

দ্বারা zime
০ মন্তব্য 859 দর্শন

 

স্টাফ রিপোর্টার : সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে কতিপয় নেশাগ্রস্ত দুষ্কৃতিকারী দ্বারা নারী চিকিৎসক লাঞ্চিত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ০৭ সেপ্টেম্বর সোমবার সন্ধ্যার পরে সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগে এ ঘটনা ঘটে। চিকিৎসক ডাঃ শারমিন ফিরোজ লাঞ্চিত হওয়ার ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন বলে জানাগেছে।

সূত্রে জানা গেছে, শহরের বাঁকাল এলাকার মৃত সঞ্জয় মোড়লের ছেলে দীপ (২৬) সেল্ফ ইনজুরি নিয়ে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসে। ঐ সময় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে জরুরী বিভাগে ডাঃ শারমিন ফিরোজ দায়িত্বে ছিলেন। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ শারমিন ফিরোজ সঠিক ভাবে রোগী দেখেন। রোগীর খিচুনী থাকার জন্য এবং নিজে নিজের মাথায় আঘাত করেছেন জানতে পেরে তিনি রোগীকে ভর্তির ব্যবস্থা করেন।

কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ শারমিন ফিরোজ রোগীর অবস্থা জটিল এবং নেশাগ্রস্ত থাকার জন্য রোগীর লোকজন কে ডেকে বুঝিয়ে বলেন। তার মাথায় সি টি স্ক্যান লাগবে এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফারর্ড ও লাগতে পারে। এসব কথা শোনার পরে রোগীর সাথে থাকা বাঁকাল এলাকার সৈয়দ রাফিনুর আলীর ছেলে সাইদুল জামান সাগর ও একই এলাকার মোজাফ্ফর হোসেনের গোলাম মোস্তফা সহ রোগীর সাথে থাকা লোকজন ডাক্তার কে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। এসময় জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত একজন স্টাফ এগিয়ে আসলে তাকে মারধর করে। তারপর তারা ডাক্তারকে মারতে আসে।

ডাঃ শারমিন ভিতরের রুমে গিয়ে কোন মতে নিজেকে রক্ষা করে। তখন ক্ষিপ্ত হয়ে রোগীর লোকজন হিংস্র হয়ে মহিলা ডাক্তারের দরজায় ধাক্কা দিয়ে যা ইচ্ছে তাই বলে গালি দেয়। এবং হুমকি দেয় যেখানে পাবো সেখানেই ডাক্তার শারমিন ফিরোজ কে মারবে এবং তার কাপড় খুলে নেবে।

এব্যাপারে, তাৎক্ষনিক ফোনে সাতক্ষীরা সিজিল সার্জন কে জানানো হয়। ঘটনা শোনার পরে সিভিল সার্জন সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম(বার) কে অবহত করলে, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। এবং সিভিল সার্জন সহ মেডিকেল অফিসার ডাঃ সাইফুল্লাহ আল কাফি, সিজিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডাঃ জয়ন্ত সরকার উপস্থিত হন।  তাদের কে জরুরী বিভাগেই আটকে রাখা হয়।

পরে পুলিশ তাদের সদর হাসপাতাল থেকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এদিকে, এ ঘটনার পর থেকে ডাঃ শারমিন ফিরোজ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। সে কারনে তিনি নিজের নিরাপত্তার জন্য রাতে সাতক্ষীরা সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।

প্রাসংঙ্গত : বাঁকাল এলাকার মৃত সঞ্জয় মোড়লের ছেলে দীপ দুই বৎসর আগে সাতক্ষীরা জেলা গোয়েন্দা শাখার কাছে ১২০০ পিস ইয়াবা সহ আটক হয় এবং ঐ মামলায় ৬ মাস জেল খেটে এখন জামিনে আছেন। একাধিক সূত্র জানায় কথিত সোর্স দিপ কখনো পুলিশের সোর্স,কখনো বিজিবির সোর্স আবার কখনো র্্যাবের সোর্স পরিচয় দিয়ে প্রশাসন কে ধোকা দিয়ে শহরের বিভিন্ন এলাকায় দাপিয়ে মাদক বিক্রি করছে।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন