আজ ১৫ ই সেপ্টেম্বর ২০২০ খ্রিষ্টাব্দ আজ থেকে ঠিক দুই বৎসর আগে কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ সুপার হিসাবে যোগদান করেছিলেন বাংরাদেশ পুলিশের ২৪ তম বিসিএম বাগেরহাটের কৃতি সন্তান ও কুষ্টিয়ার বর্তমান এসপি এসএম তানভীর আরাফাত পিপিএম(বার)।
যোগদানের দুই বৎসরের মধ্যে তিনি কুষ্টিয়া জেলার সকল মানুষের মধ্যমনিতে পরিণত হয়েছেন।মানুষের মধ্যে পুলিশ কে নিয়ে যে বিরুপ ধারনা সেটা তিনি দূর করতে সক্ষম হয়েছেন তার কর্মদক্ষতা ও মানবিক গুণাবলীর মাধ্যমে।
তিনি বেশি আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন কুষ্টিয়ার ৭৭ জন বেকার যুবক-যুবতী কে বিনা টাকায় কনস্টেবল পদে চাকুরী দিয়ে। বিষয়টি মানুষ দেখেছিলো সেদিন প্রথম আলো সহ নামীদামী টেলিভিশনের পর্দায়। শুরু সরকারী চালান ফি ১০৩ টাকা ছাড়া কোনো অতিরিক্ত টাকা লাগেনি সেদিন যারা চাকুরীতে ঢুকেছিলো তাদের। সেখান থেকে এসপি তানভীর আরাফাত হয়ে উঠে কুষ্টিয়ার মানুষের মধ্যমনি। এরপর করোনা পরিস্থিতে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত কর্মহীন মানুষের জন্য যা যা করেছেন সেটি আমরা দেখেছি সোশ্যাল মিডিয়া সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে।
জীবনের ঝুকি নিয়ে কর্মহীন মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাবার পৌছে দিতেন এসপি তানভীর আরাফাত। এই তো গত রমজানে আমরা দেখেছি কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার রাস্তার ফকির মিসকিনদের মাঝে প্যাকেটে করে ইফতার বিতরণ করছে।
শুধু তাই নয় গত ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা তে কুষ্টিয়ার পুনাক সভানেত্রীর উদ্যোগে সমাজের গরীব ও দুস্থ্যদের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ করা হয়েছিলো।
কুষ্টিয়া ইবি থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, করোনা কালে পুলিশ সুপার মহোদয় একদিন ও ঘরে বসে থাকেন নি। বরং তিনি জীবনের ঝুকি নিয়ে রেড জোন,ইয়োলো জোন এলাকা চিন্হিত করেছেন সাথে সাথে রেড জোন এলাকা লক ডাউন করেছেন নিজে উপস্থিত থেকে। ওসি মোস্তাফিজুর আরো বলেন, আমাদের আলফা ওয়ান স্যার করোনা কালে রাস্তার মোড়ে মোড়ে গিয়ে মাস্ক ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করেছেন পাসাপাশি তিনি করোনা আক্রান্তদের বাড়ি গিয়ে তাদের খোজ খবর নিয়েছেন ও প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী পৌছে দিয়েছেন।
কুষ্টিয়া মীরপুর থানার পরিদর্শক বুরহান উদ্দিন বলেন, মানবিকতার অপর নাম এসপি তানভীর আরাফাত। তিনি বলেন,আমাদের এসপি স্যার প্রায় প্রায় মেধাবী ও অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের বই খাতা কিনে দেন ও লেখা পড়ার খরচ দেন।তিনি বলেন,এই রোযার সময় তিনি কুষ্টিয়ার শিশু সদনের কয়েকশ এতিম ছেলেদের কে এসপি বাঙলোতে এনে ইফতারী করাইছেন।
পরিদর্শক বুরহান উদ্দিন আরো বলেন, কুষ্টিয়ায় ডেঙ্গু প্রতিরোধী আমাদের এসপি স্যার মশা নিধোন মেশিনে করে সারা শহর ও পুলিশ লাইন্সে ঔষধ ছিটিয়েছেন। যেটা কুষ্টিয়ার মানুষ স্মরণ রাখবে আজীবন।
এছাড়া অপরাধ দমনে বিশেষ অবদান রাখায় খুলনা রেজ্ঞের মাসিক ক্রাইম কনফারেন্সে তিনি কয়েকবার খুলনা রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ এসপি হিসাবে রেঞ্জ ডিআইজির নিটক থেকে সন্মাননা ক্রেস্ট অর্জন করেছেেন।
আজ কুষ্টিয়ার এসপির কর্মকাল দুই বৎসর পূর্ণ হওয়াতে সকালে কুষ্টিয়া জেলা পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের কর্মকর্তারা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এসে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। তার এমন জনপ্রিয়তা সম্পর্কে জানতে চাইলে এসপি তানভীর আরাফাত বলেন,
কয়েক বছর আগের পুলিশের সেবা আর বর্তমান পুলিশের সেবার মধ্যে অনেক পার্থক্য।আমি মনে-প্রাণে বিশ্বাস করি, কুষ্টিয়ার সব থানা শতভাগ দুর্নীতিমুক্ত। থানায় জিডি করতে কোনো টাকা লাগে না।
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে এসপি বলেন, কোনো মাদকবিক্রেতাকে আমি কুষ্টিয়ায় থাকতে দেব না। কোনো সন্ত্রাসী অস্ত্রধারী কুষ্টিয়ায় থাকতে পারে না।এটা আমি হাত তুলে ওয়াদা করছি। কুষ্টিয়া অঞ্চলে ইতোপূর্বে ছিল অস্ত্রের ঝনঝনানি।
লাল পতাকা, নীল প্রতাকা, জনযোদ্ধা, শ্রমজীবী মুক্তিসহ অসংখ্য আন্ডারগ্রাউন্ড পাটি। ছিল সিরাজ বাহিনীর দাপট। রাত ৯টার পরে কেউ বের হতে সাহস পেতো না। টেন্ডার দিতে গেলে তার কাটা মাথা পড়ে থাকতো অফিসের সামনে। বর্তমানে কঠোরভাবে আইনের প্রয়োগের ফলে আগের অবস্থা পাল্টানো সম্ভভ হয়েছে।
তিনি বলেন বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল ড.বেনজীর আহমেদ বিপিএম(বার) এঁর দিক নির্দেশনা ও খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি ড.খ: মহিদ উদ্দিন বিপিএম(বার) এঁর নেতৃত্বে খুলনা রেজ্ঞের সকল জেলায় বিট পুলিশিং কার্যক্রম চলছে। আমরা আশাকরি বিট পুলিশিংয়ের মাধ্যমে আমরা পুলিশি সেবা জনগনের দোরগোড়ায় পৌছে দিতে পারবো।