কলেজ ছাত্রীকে ‘অপহরণের’ পর ধর্মান্তরিত ও বিয়ে করার অভিযোগে সাতক্ষীরায় একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গ্রেপ্তার হয়েছেন।
শুক্রবার খুলনার ডুমুরিয়া থেকে এই শিক্ষককে গ্রেপ্তার এবং ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয় বলে জানান, সাতক্ষীরার শ্যামনগর থানার ওসি নাজমুল হুদা।

এই বিষয়ে বিকালে শ্যামনগর থানায় সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন কালিগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ এমএম মোহাইমিনুর রহমান।

গ্রেপ্তার শামীম আহমেদ শ্যামনগর উপজেলার নুরনগর আশালতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং নুরনগরের আলী আহসান গাজীর ছেলে।

এই ছাত্রীর বাবার দায়ের করা মামলায় শামীম আহমেদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মামলার বরাতে ওসি নাজমুল হুদা জানান, গত ৩ এপ্রিল শামীম আহমেদ কাটুনিয়া রাজবাড়ি ডিগ্রি কলেজের এক শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যান।

“গত ৭ এপ্রিল ফেইসবুকে শামীম ও ওই ছাত্রীকে খুলনার এক নোটারি পাবলিকের কার্যালয়ে বসে ধর্মান্তরিত হওয়া ও বিয়ের স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করার ছবি ছড়িয়ে পড়ে।”

ওই রাতেই মেয়েটির বাবা শামীম আহমেদের বিরুদ্ধে শ্যামনগর থানায় মেয়েকে অপহরণ ও ধর্মান্তরিত করার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন বলে ওসি জানান।

“এই মামলায় শুক্রবার সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম-বার এঁর দিক নির্দেশনা মোতাবেক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে খুলনার ডুমুরিয়া থেকে শামীম আহমেদকে গ্রেপ্তার ও অপহৃত ছাত্রীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।”

কালিগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ এমএম মোহাইমিনুর রহমান জানান, এটি শামীম আহমেদের চতুর্থ বিয়ে। এই ঘটনায় তাকে স্কুল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন