পরিবর্তনের অগ্রনায়ক ইন্সপেক্টর জেনারেল ড.বেনজীর আহমেদ

দ্বারা zime
০ মন্তব্য 493 দর্শন

 

দেশের আপামর জনসাধারণের জন্য ‘বন্ধুত্বপূর্ণ’ ও ‘মানবিক’ পুলিশসেবা গড়ে তোলার লক্ষ্যে তিনি নিয়েছেন একের পর এক কার্যকরী পদক্ষেপ। তার এসব যুগান্তকারী সিদ্ধান্তে এরইমধ্যে বদল এসেছে পুলিশি সেবায়। তিনি বাংলাদেশ পুলিশের বর্তমান ইন্সপেক্টর জেনারেল ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম-বার। 

সম্প্রতি এক ঘটনাকে ঘিরে আইজিপিকে নিয়ে সবস্তরের পুলিশ সদস্যরা ফেসবুকে আবেগঘন পোস্ট করেন। ‘আওয়ার আইকন, আওয়ার প্রাউড’ শীর্ষক এই প্রচারণায় বিভিন্ন পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তারা আইজিপি বেনজীর আহমেদের উদ্যোগে বদলে যাওয়া পুলিশের বিভিন্ন চিত্র তুলে ধরেন।

পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, পুলিশের যোগদানের পর থেকে বাহিনীর সদস্যদের মর্যাদাবৃদ্ধিতে অভাবনীয় সব উদ্যোগ নিয়েছেন বর্তমান আইজিপি। বেনজীর আহমেদকে বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান মন্তব্য করে মাদক ও জঙ্গিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার রূপকার হিসেবে আখ্যায়িত করছেন তারা।

১৯৬৩ সালের ১ অক্টোবর গোপালগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন ড. বেনজীর আহমেদ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করার পর একই বিভাগ থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর করেন তিনি। এরপর এলএলবি ডিগ্রিও অর্জন করেন। ২০১৯ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন।

সপ্তম বিসিএসের মাধ্যমে ১৯৮৮ সালে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) হিসেবে চাকরিজীবনে প্রবেশ করেন বেনজীর।

 

র‌্যাবের মহাপরিচালক হিসেবে সাড়ে পাঁচ বছরের বেশি সময় দায়িত্ব পালনের আগে তিনি প্রায় সাড়ে চার বছর ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার ছিলেন।

এরপর ২০২০ সালের ১৫ এপ্রিল দেশের ৩৭তম আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব নেন ড. বেনজীর আহমেদ। সফলতার সঙ্গে ইতিমধ্যে এক বছর পূর্ণ করেছেন। পুলিশ প্রধানের দায়িত্ব নেওয়ার পরই তিনি স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক পুলিশি ব্যবস্থা গড়ার লক্ষ্যে ঘোষণা করেন পাঁচ মূলনীতি।

এই পাঁচ মূলনীতি হলো- জনগণের প্রতি অপেশাদার আচরণ বন্ধ করা, দুর্নীতি ও মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স প্রদর্শন, বিট পুলিশিং বাস্তবায়ন, পুলিশ সদস্যদের কল্যাণ ও শৃঙ্খলা নিশ্চিতকরণ। এছাড়া কনস্টেবল থেকে অতিরিক্ত আইজি পর্যন্ত সব পর্যায়ের পুলিশ সদস্যদের জন্য বছরে অন্তত একবারের জন্য হলেও বাধ্যতামূলক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

ড. বেনজীর বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সময় বলেছেন, ‘পুলিশের পোশাকের মর্যাদা রক্ষা করতে হবে। সম্মান ও গর্ব নিয়ে চাকরি করতে হবে; যাতে চাকরি শেষে মর্যাদা নিয়ে বাড়ি যাওয়া যায়। আর দায়িত্বপালনকালে শারীরিক শক্তি নয়, আইনি সক্ষমতাকে কাজে লাগাতে হবে। দেশের মানুষকে নির্মোহভাবে ভালোবাসতে হবে। মানুষকে কোনো প্রকার নির্যাতন ও নিপীড়ন করা যাবে না। সব উপায়ে সর্বতোভাবে মানুষের জন্য কাজ করতে হবে।’

পুলিশ প্রধানের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে একের পর এক যুগান্তকারী উদ্যোগে বাহিনীটির পেশাগত উৎকর্ষ সাধন ও গুণগত মানোন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন ড. বেনজীর আহমেদ। এবার তিনি পরিবর্তন এনেছেন পুলিশ সদস্য (কনস্টেবল) নিয়োগের প্রক্রিয়ায়। সংশোধন আনা হয়েছে আইনেও। এখন থেকে নতুন প্রবিধানেই সারাদেশে নিয়োগ হবে পুলিশ সদস্য। একইভাবে নিয়োগ হবে এসআই, সার্জেন্ট ও টিএসআইও।

পুলিশ সদস্য নিয়োগে এই প্রথম অনলাইন আবেদন পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। সারাদেশের আবেদনগুলো এই পদ্ধতির মাধ্যমে জমা দেয়া হয় পুলিশ সদরদপ্তরে। এখান থেকেই প্রাথমিক এবং প্রয়োজনীয় যাচাইবাছাই করা হয়। যে কারণে এখন আগের মতো জেলা পর্যায়ে লাইনে দাঁড়িয়ে কনস্টেবল নিয়োগের প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়া আর নেই।

এছাড়া পুলিশ সদস্য নিয়োগে শতভাগ স্বচ্ছতা নিশ্চিত এবং হয়রানি দূর করতে আইনে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এই নিয়মে সময়োপযোগী দক্ষ, পেশাদার এবং যোগ্য পুলিশ সদস্য নির্বাচন সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ।

একজন ডায়নামিক কর্মকর্তা হিসেবে ড. বেনজীর আহমেদকে একবাক্যে সবাই মেনে নেন। একাধারে মেধাবী, দক্ষ, অভিজ্ঞ ও প্রত্যুৎপন্নমতি সব শ্রেণির মানুষের কাছে তার গ্রহণযোগ্যতাও ঈর্ষনীয়। পেশাদারি মনোভাব, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতি শতভাগ আনুগত্য ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ার ধরন- এসব কিছু থেকে বেনজীর আহমেদের কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে বলেও মনে করেন পুলিশ কর্মকর্তারা।

জঙ্গি, মৌলবাদী শক্তির বিরুদ্ধে আইজিপি বেনজীর আহমেদের জিরো টলারেন্স নীতি সকলের কাছে প্রশংসা পেয়েছে। তবে সবকিছু ছাপিয়ে তিনি যে একজন অসম্ভব মানবিক পুলিশ কর্মকর্তা সেই পরিচয়টিও এখন প্রকাশ্যে সুপ্রতিষ্ঠিত।

পুলিশপ্রধানের দায়িত্ব লাভের পর একের পর এক ইতিবাচক কর্মকাণ্ড দিয়ে বেনজীর আহমেদ প্রমাণ করেছেন সৃজনশীলতা, মেধা, মানবিক মূল্যবোধ দিয়ে নেতৃত্ব দিলে কীভাবে পুলিশের মতো সদা ব্যতিব্যস্ত একটি অতিগুরুত্বপূর্ণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জনগণের বন্ধুতে পরিণত করা যায়। মানবিক একটি পুলিশ বাহিনী গড়তে তার নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে সমাজে এই উপলব্ধি ক্রমশই দৃঢ় হচ্ছে যে, জনগণ আর পুলিশ অসম্ভব ভালো বন্ধু।

পুলিশের ইতিবাচক ব্র্যান্ডিংয়ে মানবিক এই আইজিপির অসামান্য ভূমিকা নিয়ে বাহিনীর সবাই গর্বিত। মানবিক হৃদয়ের মানুষ তিনি। অসহায় মানুষের দুঃখ-দুর্দশা নিয়ে ভাবেন। কীভাবে কল্যাণ করা যায় তাদের, দাঁড়ানো যায় সহায়হীনের পাশে, সেই চেষ্টায় অবিরত তিনি। যেকোনো দুর্যোগে পাশে থেকেছেন অসহায়ের। দাঁড়িয়েছেন করোনা মহামারিতে কর্মহীন মানুষ কিংবা বানভাসিদের পাশেও। রেখেছেন বিরল দৃষ্টান্ত।

করোনাভাইরাস মহামারি আপনকে করেছে পর। বাবার মরদেহ ফেলে চলে গেছে ছেলে। অসুস্থ মাকে পথে ফেলে গেছে সন্তান। কেউ কাছে আসেনি ভয়ে। জেনেশুনে নিজের জীবন বিপন্ন করতে চায়নি কেউ। কিন্তু ঝুঁকি নিয়ে সেখানে এগিয়ে গেছে পুলিশ। সৎকার করেছে নিজ হাতে। অসুস্থ মাকে নিয়েছে হাসপাতালে। দূরে দাঁড়িয়ে স্বজনরা যখন জানাজা দেখেছে আপনজনের, পুলিশ সদস্যরা সেই মরদেহ কাঁধে নিয়েছে শেষ বিদায়ে। মহামারিকালে মানবিক এক পুলিশবাহিনীকে দেখেছে দেশের মানুষ। যার নেতৃত্বে ছিলেন আইজিপি বেনজীর আহমেদ। নিজ বাহিনীসহ বিভিন্ন মহলে যিনি কর্মবীর হিসেবে খ্যাত।

আইজিপির দায়িত্ব নেওয়ার পর ড. বেনজীর আহমেদ নারীদের নিরাপত্তায় নিয়েছেন বিভিন্ন উদ্যোগ। বিশেষ করে নারীরা যাতে সাইবার বুলিংয়ের শিকার না হন, তাদের জন্য নিরাপদ সাইবার স্পেস নিশ্চিত করতে চালু করেছেন ‘পুলিশ সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেন’ ফেসবুক পেজ। কোনো নারী সাইবার বুলিংয়ের শিকার হলে তিনি সহজেই এ পেজের মাধ্যমে প্রতিকার পাচ্ছেন। এছাড়া প্রতিটি থানায় চালু করা হয়েছে নারী, শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী সার্ভিস ডেস্ক।

বেনজীর আহমেদ পুলিশের আইজিপি হওয়ার পর তার স্ত্রী জীশান মীর্জা পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক) সভানেত্রীর দায়িত্ব নেন। এরপর থেকে তিনিও একের পর এক মানবিক কাজ করে যাচ্ছেন।সম্প্রতি বরগুনা সহ দেশের কয়েকটি স্থানে তিনি গৃহহারা দের গৃহনির্মাণ করে মানবতায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। যেটা সম্প্রতি যমুনা টিভি সহ দেশের সব কয়টি টিভি চ্যানেলে প্রশংসা আকারে প্রচারিত হয়েছে। 





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন