♣♣♣
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশকে এগিয়ে নিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো সম্পাদন করতে তিনি অব্যাহত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আজ সন্ধ্যায় তাঁর গণভবণের বাসভবনে এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর যাত্রা কখনো সহজ ছিল না। কারণ তাকে বার বার মৃত্যুর হুমকির মুখোমুখি হতে হয়েছে। ১৫ আগস্ট কাল রাতের প্রাক্কালে আবেগরুদ্ধ কণ্ঠে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কিন্তু আমি কখনো পিছিয়ে যাইনি। যদিও আমি আমার সকল প্রিয়জনকে হারানোর বিরাট বেদনা নিয়ে বাস করছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশস্বাধীন হয়েছে। কিন্তু পরাজিত শক্তিও বসেথাকেনি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট একটিঅগ্রসরমান জাতির ওপর তারা চূড়ান্তভাবেআঘাত করে।
১৯৭৫ সালের এই দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখমুজিবুর রহমান, তাঁর স্ত্রী বেগম ফজিলাতুন্নেছামুজিব, তাঁদের তিন ছেলে এবং পরিবারের অন্যসদস্যদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।
তিনি বলেন, ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুর পরিবারেরপ্রত্যেক সদস্যকে হত্যা করে যাতে তাঁর রক্তেরউত্তরাধিকারী কেউ ভবিষ্যতে ক্ষমতায় আসতে নাপারে এবং বাংলাদেশের জনগণ কোন নেতৃত্বেরঅধীনে কখনো একতাবদ্ধ হতে না পারে।
সাউথ এশিয়া সাব-রেজিওনাল কো-অপারেশন(সাসেক)-এর অংশ হিসেবে জয়পুর-চন্দ্রা-টাঙ্গাইল-এলেঙ্গা হাইওয়ের (এন-৪) বিভিন্ন স্থানে নির্মিত ২৩টিসেতু উদ্বোধন উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজনকরা হয়।
প্রধানমন্ত্রী একটি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমেফেনী জেলার ফতেহপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম চার লেনমহাসড়কে রেলওয়ের ওভারপাসও উদ্বোধন করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, এসব সেতু কেবল বাংলাদেশেরআর্থ-সামাজিক উন্নয়নই নিশ্চিত করবে না, জাতিরপিতার স্বপ্নের আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিকসহযোগিতার ক্ষেত্রেও নতুন যুগের সূচনা করবে।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবংবাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজআহমেদও অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের সচিব নজরুল ইসলামপ্রকল্পগুলোর বিভিন্ন দিক তুলে ধরে একটিপ্রেজেনটেশন প্রদান করেন। মুখ্য সচিব মো. নজিবুররহমান অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার এখন থেকে স্থানীয়পরিবহন ও জনসাধারণের চলাচলের জন্য দু’টিঅতিরিক্ত সার্ভিস রোড রেখে চার লেন বিশিষ্টমহাসড়ক নির্মাণ করছে।
এসব সড়ক দুর্ঘটনা কমাবে এবং স্থানীয়জনসাধারণের চলাচলও নির্বিঘœ থাকবে উল্লেখকরে তিনি বলেন, যেখানে প্রয়োজন সেখানেআন্ডারপাস ও ওভারপাস নির্মাণ করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন যে, জয়পুর-চন্দ্রা-টাঙ্গাইল-এলেঙ্গা হাইওয়ের ওপরে নির্মিত সেতুগুলোঢাকা-টাঙ্গাইল সড়কে যাত্রীদের ভোগান্তি কমাবেএবং রেলওয়ের ওভারপাসটি ঢাকা-চট্টগ্রামমহাসড়কের যাত্রা সহজ করবে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ জয়পুর-চন্দ্রা-টাঙ্গাইল-এলেঙ্গা হাইওয়ের ওপর ৩০৪ কোটি ১৪ লাখ টাকাব্যয়ে এই ২৩টি সেতু নির্মাণ করেছে এবং বাংলাদেশসেনাবাহিনী ৬৮ কোটি ৬১ লাখ টাকা ব্যয়েফতেহপুরে ৮৬ দশমিক ৭৯ মিটার দীর্ঘ রেলওয়েওভারপাসটি নির্মাণ করেছে।
প্রধানমন্ত্রী ঢাকা ও অন্যান্য প্রধান নগরীগুলোর মধ্যেদ্রুতগামী ট্রেন চালু করার জন্য তাঁর সরকারেরপরিকল্পনা পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, রাজধানীরযোগাযোগ ব্যবস্থা আধুনিকায়ন করতে ঢাকায়এক্সপ্রেসওয়েনির্মাণ করা হচ্ছে।
তথ্য খুলনার কন্ঠ।